বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে যাওয়া জেলেদের ওপর হামলা চালিয়ে অন্তত ১০ জেলেকে রক্তাক্ত জখম করেছে জলদস্যু বাহিনী।
জলদস্যুরা এসময় তাদের শিকার করা মাছ এবং জালসহ অন্তত আট লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে আহত জেলেরা দাবি করেছেন। আহতদের মধ্যে ছয় জেলেকে বৃহষ্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার রাজেশ্বর গ্রামের রশিদ খার ছেলে ইসমাইল খা (৩০), মজিদ মোল্লার ছেলে ইসমাইল মোল্লা (৪০), ছত্তার হাওাদারের ছেলে বেল্লাল (২৮), জলিল মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৪০), রুহুল হাওলাদারের ছেলে আব্দুল জলিল হাওলাদার (৩০), আলী হোসেন হাওলাদারের ছেলে আক্কাস (২৮) ।
এছাড়া একই উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের জব্বার হাওলাদারের ছেলে ইদ্রিস (২৫), ঝিলবুনিয়া গ্রামের রফেজ মিয়ার ছেলে আব্বাস (৩০), রাজেশ্বর গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে হারুন মোল্লা (২৮) ও ইসমাইল খার ছেলে ফোরকানকে (২২) প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে এই ঘটনা ঘটে বলে ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন।
ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে ট্রলার মালিক ইসমাইল খাঁ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, এক সপ্তাহ আগে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বনবিভাগের কার্যালয় থেকে পাশ নিয়ে এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিসিং ট্রলারে করে ১০ জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়। বুধবার সন্ধ্যায় মাছ ধরা অবস্থায় একদল জলদস্যু সেখানে এসে তাদের ওই ট্রলারে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং তাদের ট্রলারে থাকা মাছ ও জাল লুট করে নিয়ে যায়।
জলদস্যুরা অন্তত আট লাখ টাকার মাছ ও জাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে তিনি দাবি করেন।
মংলাস্থ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মেহেদী মাসুদ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, জেলেদের ওপর হামলা ঘটনা তাদের কেউ জানায়নি। তবে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জলদস্যু বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
শরনখোলা থানার ওসি মো. কাজী আব্দুস ছালেক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বঙ্গোপসাগরে জেলে বহরে হামলার খরব শুনেছি। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে।