সোমবার সকালে বাগেরহাটের মংলায় সুন্দরবনের চাঁদাপই রেঞ্জ কার্যালয়ে নিহত জাহাঙ্গীর শেখের (৪০) স্ত্রী জয়গুন বেগমের হাতে ওই ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।
জাহাঙ্গীর শেখ জেলার মংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি গ্রামের শেখ আবুল হোসেনের ছেলে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁইপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) বেলায়েত হোসেন জানান, ২০১৪ সালের ৩ জুলাই পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কার্যালয় থেকে পাশ নিয়ে ডিঙ্গি নৌকায় করে জাহাঙ্গীর শেখ শেলা নদীর মৃগমারী এলাকার উরুবুনিয়া খালে মাছ শিকার করতে যান।
তিনি ওই খালে জাল পাতেন। পরে নৌকা থেকে নেমে পেতে রাখা জাল তুলতে গেলে একটি কুমির তাকে ধরে নিয়ে যায়। এর দু’দিন পর পাশের নদী থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় তার স্ত্রী জয়গুন বেগম মংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং ক্ষতিপূরণের জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করেন। জাহাঙ্গীর কুমিরের আক্রমণে নিহত হয়েছেন তদন্তে সত্যতা মেলায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
চাঁদপাই রেঞ্জ কার্যালয়ে আয়োজিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম ফকির, চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম রাসেলসহ বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১০ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল কোনো ব্যক্তি যদি বৈধ পাশ নিয়ে সুন্দরবনে গিয়ে সুন্দরবনের হাতি, কুমির কিংবা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আক্রমণে নিহত হন তাহলে এক লাখ টাকা, আহত হলে ৫০ হাজার টাকা এবং এসব বন্যপ্রাণী যদি লোকালয়ে এসে মানুষের সম্পদের ক্ষতিসাধন করে থাকে তাহলে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
তারই অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরের পরিবারকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বন বিভাগের এ কর্মকর্তা।