সিনেমা হলের সামনে বসে আড্ডা থেকে জন্ম নেয়া সংগঠন । নাম ‘হিমালয় শ্রমজীবি সমিতি’।
সমিতির বর্তমান সদস্য ৫২ জন। হিসার পরিচালনার জন্য রয়েছে জব্দাখাতা, রয়েছে পরিচালকও। মাত্র ৮ মাসেই নিজেদের ক্ষুদ্র সঞ্চয় থেকে এসব শ্রমজীবিরা ভাগ্যের উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিদিন ১০ টাকা করে গচ্ছিত ক্ষুদ্র সঞ্চয় থেকে এসময়ের মধ্যেই সংগঠনটি কিনেছে ৩টি রিকশা।
রিকশা চালকদের নিয়ে ব্যতিক্রম ধর্মী এ সংগঠনের যাত্রা শুরু ২০১৪ সালের জুলাই মাসের শুরু দিকে।
শনিবার বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়ম প্রাঙ্গনে এক ছোট্ট আয়োজনে হিমালয় শ্রমজীবি সমিতি তাদের ক্ষুদ্র সঞ্চয় থেকে ক্রয়কৃত ৩টি রিকশার উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর আব্দুর রব। অভিনব এ কর্মসৃজন পদ্ধতি দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি বলেন, ‘সদ ইচ্ছা থাকলে সমাজের যে কোন মানুষই ভালো কিছু করতে পারে। তার বাস্তব উদাহরন হিমালয় শ্রমজীবি সমিতি।’
উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সমিতির উপদেষ্টা সেনা বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সৈনিক শেখ হায়দার আলী, ব্যাংকার মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, সমিতির সাধারন সম্পাদক নুর আলম নুরসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।
সমিতির সভাপতি রিক্সাচালক জাহাঙ্গির আলম খোকন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, এভাবে আমরা এতদুর আসতে পারবো কখনও ভাবিনি। সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়েরর পাশাপাশি ৩টি রিক্সা থেকে এখন প্রতিদিন ১২০ টাকা আয় হবে।
রিক্সা ভাড়া দেয়া হবে সদস্যদের মধ্যে ফলে তারা উপকৃত হবে। বাড়বে সমিতির সঞ্চয় এভাবে বাড়ানো হবে রিক্সার সংখ্যা।
এমন বেতিক্রমী উদ্যোগের পেছনে সহযোগিতা করেছেন সামাজিক সংগঠন উন্মেষ এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম। কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, গত বছর শহরের একটি সিনেমা হলের (লাইট হল) সামনে চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে পরিচয় হয় কয়েক জন রিকশা চালকের সাথে। তখন তাদের এই আইডিয়া দেয়া হয়।
তারা প্রতিদিন আড্ডাস্থল সিনেমা হলের সামনে এসে ১০ টাকা করে সঞ্চয় করতে শুরু করে। এভাবে ৫২ জনের এ সমিতির সদস্যরা প্রতিদিন অর্থ সঞ্চয় করে। পরে তাদের মধ্য থেকেই সভাপতি, সম্পাদক মনোনিত করে সংগঠনের নাম দেওয়া হয় ‘হিমালয় শ্রমজীবি সমিতি’।
তিনি আরো জানান, শ্রমজীবিদের আর্থিক অবস্তার উন্নতি ঘটানোর জন্যই তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এক বছরের মধ্যেই তার সাফল্য এসেছে।
নিজেদের সঞ্চয়ের মাধ্যমে জমনো ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তারা ৩টি নুতন রিকসা ক্রয় করেছে। এর মাধ্যমে তাদের এ পথ চলা আজ পূর্নঙ্গ রুপ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।