সুন্দরবনের শ্যালা নদী দিয়ে সুনিয়ন্ত্রিতভাবে নৌ চলাচল উন্মুক্ত করতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
এ সময়ের মধ্যে শ্যালায় নৌ-যান চলাচল উম্মুক্ত করা না হলে বুধবার দিবাগত (৭ জানুয়ারি) রাত ১২ টা থেকে সারা দেশের পণ্যবাহী সব নৌ-যান শ্রমিকরা অবিরাম কর্মবিরতি পালন করবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম।
মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেয় নৌ-যান শ্রমিকদের এই সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এ নদী দিয়ে নৌ-যান চলাচল করতে না দিলে দেশের অর্থিক-বাণিজ্যিক ক্ষতির পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি ঘটবে।
আশিকুল বলেন, মংলা বন্দর সচল রাখা আদৌ সম্ভব হবে না, এক হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের জাহাজ স্ক্রাপ করে ফেলতে হবে। লাখ লাখ লোক কর্মহীন হয়ে পড়বে বলেও দাবি করেন সংগঠনটির এই নেতা। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের গড়ে ওঠা অনেক শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে ৭টি সমুদ্রগামী নৌ-যান। যার পণ্যের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিকটন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় লোড ও আনলোডের অপেক্ষায় আছে খাদ্যসামগ্রী পাথরসহ সিমেন্ট বহণকারী অনেক জাহাজ। এ অবস্থায় দ্রুত মাল বহনের ব্যবস্থা না করলে অনেক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা আছে।
সংগঠনটি থেকে বলা হয়, শ্যালা নদীতে জাহাজ ডুবিতে যে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষণিক দ্রুত তেল উত্তোলন করা সম্বব হলে এই ক্ষতি হতো না। তিনি বলেন, জাহাজ ডুবির দুই দিন পরও প্রশাসন থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সতর্ক থাকলে এই দুর্ঘটনা অবশ্যই এড়ানো যেত মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী জাহাজের কনডিশন এবং ফার্নেস ওয়েল বহনে সমচিন হয়েছে কি-না তা নির্নয় করা দরকার ছিল।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার বিমান নিখোঁজ হয়ে রাশিয়ার বিমান বিপর্যয় হয়েছে। তাতে কি বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে? বরং পুনরায় এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা বাঞ্চনীয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম, সহ-সভাপতি জেন্নাত আলী ড্রাইভার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলমসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।