সুন্দরবনের শ্যালা নদীর নৌপথ খুলে দেওয়ার দাবিতে সরকারকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে ৬ জানুয়ারির পর থেকে সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতিসহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (২ জানুয়ারি) সকালে বাগেরহাটের মংলায় বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের এক সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষা, দ্রুত মংলা-ঘসিয়াখালী চ্যানেল চালু, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা, মংলা বন্দরকে রক্ষা, সুনিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিতভাবে শ্যালা নদীর রুট সাময়িকভাবে চালুর মাধ্যমে বিপর্যস্ত শ্রমিক ও শিল্পকে বাঁচানোর দাবিতে ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের মংলা শাখা অফিসে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, ৫ জানুয়ারির মধ্যে শ্যালা নদী দিয়ে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করা না হলে ৫ জানুয়ারির পর সারাদেশে নৌযান কর্মবিরতিসহ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচিতে যাবে ফেডারেশন।
মংলা-ঘাসিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেল চালু না হওয়া পর্যন্ত শ্যালা নদীর এই নৌপথ দিয়ে নৌযান চলাচলের অনুমতি দিতেও দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের মংলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহআলম, সহ-সভাপতি ও জাহাজ শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম বাহার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হোক এটা কারো কাম্য হতে পারে না। কোনো অজ্ঞাত কারণে এক যুগেরও বেশি সম্পূর্ণ অবহেলায় মংলা-ঘাসিয়াখালী চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে গেল, এটা জানতে চাওয়া সময়ের দাবি।
তারা বলেন, শ্যালা রুট বন্ধ থাকায় ২৩ দিনেরও বেশি সময় ধরে শ্যালা নদীর দুই দিকে ৫শতাধিক জাহাজ আটকা পড়েছে। জাহাজগুলোতে পানিসহ খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে।
অচিরেই শ্যালা নদী দিয়ে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করা না হলে ৬ জানুয়ারী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মবিরতিসহ কঠিন কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে নৌযান শ্রমিকরা। যার দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন নেতৃবৃন্দ।
এর আগে বুধবার মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুটি চালু না হওয়া পর্যন্ত শ্যালা নদীর নৌপথটি চালু রাখার দাবিতে শুক্রবার বিকালে মংলায় সমাবেশ ও বিক্ষভের ডাক দেয় ফেড়ারেশন।
তবে, রাস্তায় কাঁদার কারণে বিকাল ৩টার মংলায় নৌযান শ্রকিমদের নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।