ট্যাঙ্কার দূর্ঘটনার পর বন্ধ করে দেওয়া সুন্দরবনের শ্যালা নদীর নৌপথটি চালুর দাবিতে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুটি চালু না হওয়া পর্যন্ত মংলা বন্দরকে সচল রাখতে শ্যালার এই নৌপথটি চালু রাখার দাবি সংগঠনটির। আর এই দাবিতে শুক্রবার (২ জানুযারি) বিকালে মংলায় সমাবেশ ও বিক্ষভের ডাক দিয়েছে ফেড়ারেশন।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেমনের প্রচার সম্পাদক শেখ আবুল কাশেম (মাস্টার) মুঠোফোনের বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি জানান, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভূক্ত লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশন মংলা শাখা অফিসে শুক্রবার বিকাল ৩টায় সমাবেশ এবং এই দাবিতে শহরে বিক্ষভ করবে তারা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহ-আলম, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ সমাবেশে ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জান গেছে।
গত ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ফার্নেস অয়েলবাহী দুর্ঘটনার ডুবির পর থেকে ওই রুট দিয়ে সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আবুল কাশেম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, শ্যালার নৌথটি বন্ধ থাকায় বাগেরহাটের শরণখোলা, সণ্যাসী, পিরোজপুরের কাউখালী, ঝালকাঠি ও মংলা রুটে তেলবাহী ও মালবাহী এক হাজারেরও বেশী ছোট বড় নৌযান আটকা পড়েছে।
ওই সব নৌযানে কর্মরত প্রায় ছয় হাজার কর্মচারী বর্তমানে অনাহারে অর্ধহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পরিস্থিতি নিরসনে সরকারের কাছে দফায় দফায় তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করেছে।
তবে সরকার এ ব্যাপারে কোন কর্ণপাত করছেন না। ফলে একদিকে যেমন মংলা বন্দরে অচল অবস্থা তৈরি হচ্ছে একই সাথে এই পেশার সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারি বেকাল হয়ে পড়েছে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ওই নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘আমরা (নৌ শ্রমিকরা) কখনও আন্দলনের নামে ভাংচুর, অবরোধ বা জ্বালাও পোড়াও করিনা। কিন্তু নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য তাদের এখন আর আন্দোলনের বিকল্প থাকছে না।’
ফেডারেশনের একাধিক নেতা বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানিয়েছেন, তাদের এই মুহূর্তে দাবি ঘষিয়াখালী নৌ রুট দ্রুত খনন করে চালু করা এবং এই রুটটি যতদিন পর্যন্ত চালু না হবে শ্যালা নদী দিয়ে নৌযান চলাচল করতে দিতে হবে।
দাবি মানা না হলে শুক্রবারের সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে বলেও জানান বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশ নেতৃবৃন্দ।