টানা ৭৩বছর ধরে ভোগ দখলে থাকলেও বর্তমান মাঠপরচা ও রেকর্ডে অন্যের নামে চলে গেছে জমি।
নগদ মোটা অংকের উৎকোচ দিতে পারলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে এমনটি সম্ভব বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া গ্রামের। ওই গ্রামের মৃত মফেজ উদ্দিন পাহলানের ছেলে মজিদ পাহলান দীর্ঘ ৭৩ বছর ধরে পৈত্রিক ও রেকর্ডীয় সূত্রে ভাষান্দল মৌজায় ৬.৪৪একর জমি ভোগ দখল করছেন।
কিন্তু সম্প্রতি মাঠজরিপে তা রেকর্ড হয় একই গ্রামের রাজ্জাক, অহেজদ্দিন, মোজাম্মেল ও মোফাজ্জেল হকের নামে। জমি নিয়ে আদালতে একাধীক মামলা চলছে গত ৪০ বছল ধরে। মামলার রায় মজিদ পাহলানের পক্ষে এবং বর্তমানে ভোগ দখলেও তিনি।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৯৬ সালের মাঠ জরিপে মজিদ পাহলানের নামে ২.৪৪ একর জমি দেখা গেলেও বর্তমানে সকল জমি(৬.৪৪একর) চলে গেছে রাজ্জাক গংদের নামে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা উপ সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ সানা উদ্দিনকেও বিষয়গুলো আইনজীবীর মাধ্যমে জানানো হয়েছে। এরপরেও তিনি টাকার বিনিময়ে মজিদের জমি রাজ্জাক গং এর নামে রেকর্ড দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনগত বিচার পেতে জেলা প্রশাসক, খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মজিদ পাহলান।
এব্যাপারে জানতে মোরেলগঞ্জের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ ইকবাল কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে তিনি জানান, উপজেলা উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ সানা উদ্দিন অন্যত্র বদলী হয়ে গেছেন। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।