কী, শিরোনাম দেখে ভড়কে গেলেন? নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, দেশের বিপরীত মেরুর প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের (আওয়ামী লীগ-বিএনপি) প্রতীক এক হলো কিভাবে?
অবাক লাগলেও দেশের রাজনীতিতে দা-কুমড়া সম্পর্ক বিদ্যমান দল দুটির প্রতীকের এমন একিভূত দৃশ্যের দেখা মিলেছে বাগেরহাটের রামপাল নদীর চরে। এ ছবি সাজিয়ে রাখা কোন দৃশ্য নয়। মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুটে প্রাকৃতিকভাবেই হয়েছে এমন দৃশ্য।
পলি জমে জমে নদী মরেছে। নৌ-পথটি বন্ধ হবার সাথে নদীর বুকে জেগেছে বিশাল চর। এক সময়কার খরস্রতা নদীর বুকে চলতো যে নৌযান, তাই এখন পড়ে আছে ঘাটে, মাঝ নদীতে। কোন কোনটির উপর জমেছে কয়েক হাত পলি মাটি আস্তরণ।
চরের উর্বর পলি মাটিতে ইরি-ধান চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষকের বীজ তলা থেকে শুকনো মৌসুমে সেচের পানিতে ভেষে আসা ধানে চারা জন্মেছে পরিত্যাক্ত নৌকা-ট্রলারে।
মৌসুমের শেষে এসে শীষ ধরেছে সেই ধান গাছে। তাই নৌকার উপর দেখা মিলছে জ্যান্ত ধানের শিষ!
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার রামপাল থানা সংলাগ্ন খেয়া ঘাটে চোখে পড়ে এমন দৃশ্য!
ঘাটের পাশেই বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান। যার একটি স্থানীয় রফিকুল ইসলামের। বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে তিনি বলেন, নদী শুকায় গেছে। গেল ক’বছর ধরে এখানে ধান হচ্ছে। খেয়া পারাপারের নৌকাগুলোতে জন্মানো চারা গাছগুলোতে শিষ চলে এসেছে।
দেখতে ভালোই লাগে। যেন দুই দলের প্রতীক এক হয়েছে।
শুধু প্রতীকের এমন প্রতীকী মিল নয়। দেশের উন্নয়নে এবং জাতীয় স্বার্থে বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছবির এ দৃশ্যের মত মিলেমিশে এক সাথে কাজ করবে প্রত্যশা সাধারণ মানুষের।
রফিকুল ইসলামের দোকানে বসেই এসব নিয়ে কথা হয় শ্রীফলতলা গ্রামের মিঠু শেখের সাথে। বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে ওই তরুণ বলেন, নৌকা ও ধানের শীষ প্রতিকের রাজনৈতিক দল যদি মিলেমিশে থাকতো তাহলে এ দেশ বদলে যেত। আমরা কোথাও পিছিয়ে থাকতাম না। থাকতো না সংঘাত-সংঘর্ষ, হরতাল বা অবরোধ।