সুন্দরবনে ট্যাঙ্কার দূর্ঘটনায় ছেড়িয়ে পড়া তেলের প্রভাব পর্যবেক্ষণে গঠিত জাতিসংঘে বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষক দল ৬দিনের পর্যবেক্ষণ শেষে সুন্দরবন ছেড়েছেন।
সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি ও জীব বৈচিত্রের উপর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে শনিবার দুপুর ৩টার দিকে দলটি ঢাকার উদ্যেশে মংলা ত্যাগ করেন।
সুন্দরবনে ফার্নেস অয়েল ছড়িয়ে পড়ায় বনের ক্ষয়ক্ষতি এবং এর সল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পর্যবেক্ষণে দলটি ২২ ডিসেম্বর মংলা পৌছায়। ওই দিন বিকালে মংলা পৌছানের পর সন্ধা থেকে লঞ্চে করে সুন্দরবনে কাজ শুরু করে দলটি।
জাতিসংঘ ‘জয়েন ইউএন গভার্নমেন্ট ওয়েল স্পিল রেসপন্স মিশন’ এর বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তুলে ধরবেন বলে জান গেছে।
বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান এ্যামেলিয়া ওয়ালস্ট্রম জানান, ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটিতে ১১ জন আন্তর্জাতিক এবং ১৪ জতীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন। তারা সবাই তেল দুষণ রোধ, বন, বন্য প্রানী সম্পর্কে আন্তজাতিক পর্যায়ের অভিজ্ঞ এবং এ দেশের বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
মোট ৬টি দলে বিভক্ত হয়ে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলটি পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকায় কাজ করে। এসময় তারা শ্যালা ও পশুর নদী এবং সংলগ্ন শাখা খালগুলো থেকে প্রয়োজনিয় বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন।
ছড়িয়ে পড়া তেলের বিস্তৃতি, সম্ভাব ক্ষতিকর প্রভাব, জলজ প্রানী ও উদ্ভিদের উপর প্রভাব, বন্য প্রানীর উপর প্রভাব, বন সংলগ্ন মানুষের জীবিন-জীবিকার উপর এবং ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেমের উপর তেলের প্রভাব পর্যবেক্ষ করেন তারা।
গত বুধবার সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক এলকায় এম.এল ফ্লোটিং হোম লঞ্চে দাড়িয়ে জাতিসংঘের ‘জয়েন ইউএন গভার্নমেন্ট ওয়েল স্পিল রেসপন্স মিশন’ এর প্রধান এ্যামেলিয়া ওয়ালস্ট্রম এই প্রতিবেকদকে বলেছিলেন, আমরা আশা করছি আগামী ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরবন বিষয়ে সরকারকে একটি প্রাথমিক সুপারিশ প্রদান করবেন।
গত ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ট্যাংকার ডুবে যাওয়ার পর ১৫ ডিসেম্বর সরকার জাতিসংঘের কাছে সহায়তা চায়। এর পর এই বিশেষজ্ঞ দল ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষনে সুন্দরবনে আসেন।