শুক্রবার গভীর রাতে আগুন দেয়া হয়েছ মোরেলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া সার্বজনীন মন্দিরে।
এ সময় বনগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র বসু চৌধুরীর বাড়ির রান্নাঘর এবং একই ইউনিয়নের বহরবুলা গ্রামের তাপস সেনের একটি বসত ঘরেও আগুন দেয়া হয় বলে জানান গেছে।
এজন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করা হলেও জামায়াতে ইসলামী বলছে, মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িতে হামলায় তাদের কেউ জড়িত নয়।
শনিবার সকালে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ রায়, মোরেলগঞ্জ সার্কেল এ এস পি শহিদুল হক ও মোরেলগঞ্জ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জোহর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, প্রাথমিকভাবে তারা ঘটনা গুলোকে রহস্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তরা সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ করছেন নি। ঘটনাগুলো তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব না ।”
তবে স্থানীয় বিএনপিকর্মীরা ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত নারায়ণ চন্দ্র বসু চৌধুরী।
অভিযোগ অস্বীকার করে নবনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিএনপি সভাপতি আব্দুল জব্বার মোল্লা বলেন, “পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য তারা ভিত্তি হীন এই মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে একই উপজেলার চিংড়েখালী ইউনিয়নের সিংজোড় গ্রামের গোপালপুর সার্বজনীন মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করা হয়। ওই ঘটনায় শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।