সুন্দরবনে জ্বালানী তেলবাহী ট্যাঙ্কার ডুবির ঘটনায় ক্ষয় ক্ষতি ও জীব বৈচিত্রের উপর এর প্রভাব পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল মংলা পৌছেছে।
সোমবার বিকাল ৪টায় কিছু পর ‘জয়েন ইউএন গভার্নমেন্ট ওয়েল স্পিল রেসপন্স মিশন’ এর প্রতিনিধি দলটি বাগেরহাটের মংলায় এসে পৌছায়।
সুন্দরবন বণ্যপ্রাণী বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জাহিদুল কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশী ও বিদেশীদের সমন্বয়ে কুড়ি থেকে পঁচিশ সদস্যের এই দলটি মংলা পৌছেছেন। তারা রাতে মংলার পশুর নদীতে লঞ্চে অবস্থান করবেন। মঙ্গলবার পরিদর্শনের জন্য সুন্দরবনে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের।’
এদিকে বিকেলে মংলাস্থ সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের জেটিতে দাড়িয়ে পরিদর্শক দলের জন্য নির্ধারিত লঞ্চে ওঠার সময়ে জাতিসংঘের এই ‘জয়েন ইউএন গভার্নমেন্ট ওয়েল স্পিল রেসপন্স মিশন’ এর প্রধান এমেলিয়া ওয়ালস্ট্রম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের আহ্বানে সুন্দরবনে জ্বালানী তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাটি পরিদর্শন করতে এসেছি।
এখান থেকে আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত ও উপকরণ সংগ্রহ করবেন। সেগুলেঅ পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই বোঝা যাবে প্রকৃতপক্ষে এই দ্রর্ঘটনা সুন্দরবনের কতটুকু ক্ষতি করেছে এবং তা কাটিয়ে উঠতে কি করতে হবে।’
সূত্রমতে, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালের পানি, মাটি ও গাছ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। তারা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে তারা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবেন। প্রতিদিনের কাজের রিপোর্ট তারা কান্ট্রি অফিসে পাঠাবেন। সেখান থেকে গণমাধ্যমে তথ্য পাঠানো হবে।
গত ৯ ডিসম্বের ভোরে সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ নামে তেলবাহী একটি ট্যাংকার ৩ লখ ৫৭ হজার ৬৬৪ লিটার ফার্নেস অয়েল নিয়ে অন্য একটি ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় ডুবে যায়। এঘটনায় তেল ছড়িয়ে পড়ে সুন্দরবনের বিস্তৃণ এলাকায়।
যার প্রভাবে বিলুপ্ত প্রায় ইরাবতি ডলফিন, জলপ্রাণী ও জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ১৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘের কাছে সহায়তা চেয়ে একটি চিঠি দেয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ এই বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে। তারা সুন্দরবন এলাকায় ৬ দিন অবস্থান করবে।