মানুষের দুঃখ, কষ্ট ও উন্নয়নের কথা বললেও সাংবাদিকদের নিজেদের উন্নয়নে জন্য কথা বলা এবং তুলে ধরার জায়গা নেই বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের প্রিন্ট ও ইলেকট্রকিন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস কাউন্সিল এ্যাক্ট. ১৯৭৪ ও কাউন্সিল প্রনীত আচরণবিধি নিয়ে মত বিনিময় সভা এ মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এখনও সাংবাদিকদের ভাতা নেই, রিলিফ ফান্ড নেই, কোথাও কোথাও বেতন নেই। সকল স্তরে সাংবাদিকতের প্রতিনিধিত্ব নেই।
সাংবাদিকরা সারা দেশ থেকে বিভিন্ন অন্যায় অসংগতির কথা তুলে ধরেণ কিন্তু তাদের নিদের কথা বলার কোন জায়গা থাকে না। তাই নিজেদের উন্নয়নে সাংবাদিকদের এবার কলম ধরার আহ্বান জানান তিনি।
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রায় অর্ধশত সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে উঠে আসা বিভিন্ন দাবিদাবার সাথে সহমত প্রকাশ করে তিনি বলেন, আজ সারাদেশে ইয়াবা নিয়ে আসে সাংবাদিক। কুমিল্লা, চিটাগাং থেকে পাচার হওয়া মাদক দ্রব্য পরিবহনে ব্যবহৃত বিভিন্ন গাড়ি আর মটর সাইকেলের গায়ে লাগান থাকছে সাংবাদিক লেখা নেমপ্লেট। এগুলো আপনাদের দেওয়া রিপোর্ট। এ অবস্থা চলতে পারেনা।
বাংলাদেশের সংবাদিকদের সংখ্যা কত (?) এমন প্রশ্ন রেখে বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এর কোন পরিসংখ্যান পাইনি। শুধু মাত্র একটি আইডি কার্ড প্রদান করে কোন কোন সংবাদপত্র সংবাদিক তৈরি করেছে। তারা প্রতিনিধিদের কোন সম্মানি প্রদান করছে না। এটা গ্রহন যগ্য নয়। এরাই হলুদ, ধান্দাবাজ ও চাঁন্দাবাজ সাংবাদিক তৈরি করছে।
সংবাদিকদের নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, আইনজীবিদের বার কাউন্সিলে মত পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের কল্যানের জন্য কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় জেলা পর্যায়ে এই মত বিনিময়। এর সুপারিশ গুলো তুলোধরে আইনের আওতায় আনা হবে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো আজ বিভিন্ন করপরেট আর সম্পদশালীদের সম্পদ রক্ষার হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহারের চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকটে মীর শওকত আলী বাদশার সভাপতিত্বে সভায় অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি বাবুল সরদার, সাবেক সভাপতি এ্যাড. মোজাফ্ফর হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা থেকে আগাত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রকিন মিডিয়ার সংবাদিকরা।