বাগেরহাটের চিতলমারীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রয়াত এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে প্রতিপক্ষ।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে চিতলমারী উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের নালুয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দবির হোসেনের বাড়িতে হামলার সময় সংঘর্ষে তার বিধবা স্ত্রীসহ দুপক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে দবির হোসেনের স্ত্রী ফিরোজা দবির (৫৫), তার ভাতিজা আবু সাঈদ (৪২), জাকির হোসেন (৩০) ও আলমগীর হোসেনকে (৩৬) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া ওই মুক্তিযোদ্ধার ভাতিজা আব্দুস সালাম (৪৫), পুত্রবধূ মিলন বেগম (৩০) ও আঁখি বেগম (২৪) এবং প্রতিপক্ষ তৌহিদুল মোল্লা (৫০) ও তার সহযোগী ইলিয়াস মোল্লা (৩২) ও জাকির মোল্লাকে (৩৫) চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আনিসুর রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, দবির হোসেনের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী অহিদুজ্জামান মোল্লার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে শনিবার সকাল ৭টার দিকে অহিদ মোল্লার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লাঠিসোটা নিয়ে দবিরের বাড়িতে ঢুকে বাড়িঘর ভাংচুর শুরু করে।
এসময় ওই বাড়ির লোকজন ঠেকাতে গেলে তারা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার স্বজনদের আহত করে।
এঘটনায় দবিরের ভাতিজা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে অহিদুজ্জামানসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানান ওসি।
মামলায় দবির ও তার ভাইয়ের বসতঘর ভাংচুর এবং নগদ দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহিনুল আলম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে দবির হোসেন তাদের সঙ্গে রণাঙ্গনে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান তিনি।