বাগেরহাটের চিতলমারীতে হাত বাঁধা ও গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের হাড়িয়ারঘোপ গ্রামের মাঠ থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
চৌধুরী তৌহিদুল ইসলাম (৩২) নামে ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যার পার দুর্বৃত্তরা তার লাশ মাঠে ফেলে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পুলিশ।
পেশায় দিনমজুর তৌহিদুল ইসলাম খুলনার রুপসা উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মৃত মাজেদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি খুলনার তেরখাদা উপজেলার কাটিঙ্গা গ্রামে স্ত্রী আদুরী বেগমকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। দুই মাস বয়সী তাঁর একটি মেয়ে রয়েছে।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান শুক্রবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, নিহত তৌহিদুল বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় খুলনার তেরখাদা থেকে বাগেরহাটের চিতলমারীতে ৩-৪দিন আগে তার ফুফা শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসা স্ত্রীকে নিতে আসেন।
নিহতের স্ত্রীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, চিতলমারীতে পৌছে তিনি রাত আটটার দিকে তার স্ত্রীকে মোবাইলফোনে বলেন আমি তোমার ফুফার বাড়ি কাছে পৌছে গেছি কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়িতে চলে আসবো। কথা বলার এক ঘন্টা পার হলেও তৌহিদুল ওই বাড়িতে না পৌছলে তার স্ত্রী তার ফোনে বারবার ফোন দিতে থাকেন। কিন্তু ওই ফোনে একাধিকবার রিং দিলে তৌহিদুল তা রিসিভ না করায় রাতেই তার স্ত্রী ও ফুফা মিলে তাঁকে খুজতে বের হন। কিন্তু রাতে তারা কোথাও তাঁকে খুঁজে পাননি।
পরে সকাল হলে আশেপাশের গ্রামে তাঁকে তার স্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজন খুঁজতে বেরিয়ে হাড়িয়ারঘোপ গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠে হাত বাঁধা ও গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে তাঁর (পুলিশ) লাশ উদ্ধার করে।
কি কারনে দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।