বাগেরহাটের ফকিরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহষ্পতিবার রাতে ফকিরহাট উপজেলার ডাংক বাংলোর মোড় এবং পুরাতন রেল স্টেশন এলাকায় দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় ২টি মটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ ও ১০/১২টি মটরসাইকেল ভাংচুর হয়েছে বলে পুলিশ ও প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শমসের আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ঘটনার পর থেকে এলকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল এবং আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষের ১৮ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সোহাগ, মো. ইমরান, দারা, মতিয়ার রহমান, এনামুল, শেখ নজরুল ইসলাম, শেখ মফিদুল ইসলাম, শেখ জুয়েল, আকরাম শেখ, আব্দুল খালেক, আলাউদ্দিন, শেখ কেরামত, হাসান মল্লিক, ডলার, শেখ বিল্লাল, আরজু, শাহাবুদ্দিন ও আসলাম। এদের বাড়ির ফকিরহাট উপজেলার আট্টাকী, বাহিরদিয়া এবং সাতশৈয়া গ্রামে।
আহতদের মধ্যে এনামুল, সোহাগ, দারা, ডলার, আরজু এবং আলাউদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কল্যাণ দেবনাথ রাতে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, আহত ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের শরীরে ইট, লাঠিসোটাসহ ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এরমধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শমসের আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ হারুণ অর রশিদের সঙ্গে নিহত জাহিদের স্ত্রী ও সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শিরীন আক্তারের বিরোধ চলে আসছে।
সেই বিরোধের জের ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় ডাক বাংলোর মোড়ে হারুণের এক সমর্থক রুবেলের সঙ্গে শিরীন আক্তারের সমর্থক শুভ’র কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা মারামারি শুরু করে। পরে মারমারির খরব উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা জড়ো হয়ে ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০-২৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘটনার পর এলকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিরীন আক্তার এবং উপজেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি শেখ হারুণ অর রশিদের মুঠোফোনে বারবার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা কলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।