সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ট্যাঙ্কার ডুবে ছড়িয়ে পড়া ফার্নেস অয়েল অপসারণে সরকারের তেল ক্রয়ের ঘোষণার চতুর্থ দিনে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিন ভর স্থানীয়দের কাছ থেকে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির নিয়োজিত ঠিকাদার তেল কিনেছেন মাত্র ৮ হাজার ২০০ লিটার।
ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম বাবুল সন্ধ্যায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ঘোষণা অনুযায়ী আগের চেয়ে লিটার প্রতি ১০ টাকা বেশি দরে এদিন ৪০ টাকা করে ডুবে যাওয়া ট্যাঙ্কারের তেল কেনা হয়েছে। এভাবে সোমবার সারাদিনে স্থানীয়দের কাছ থেকে তারা তেল কিনেছেন ৪১ ব্যারেল (৮ হাজার ২০০ লিটার)।
এনিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চার দিনে ৪৮ হাজার ৪০০ লিটার তেল কেনা হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ব খুলনার পদ্মা অয়েল ডিপো থেকে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৪ লিটার ফার্নেস অয়েল নিয়ে গোপালগঞ্জের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবনে শ্যালা নদীতে যাত্রাবিরতিকালে দুর্ঘটনায় পড়ে ‘ওটি সাউদার্ন স্টার-৭’ নামের ট্যাঙ্কার।
এমভি টোটাল নামে অপর একটি ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় তেলবাহী ট্যাঙ্কারটির এক পাশ ফেটে যায় এবং শ্যালা নদীতে ডুবে তেল ছড়িয়ে পড়ে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে।
বৃহস্পতিবার এ তেল অপসারণে স্থানীয়দের কাজে লাগাতে ৩০ টাকা লিটার দরে সরকার তেল কেনার ঘোষণা দেয়। ওই দিন দুপুরে উদ্ধার হয় ডুবে যাওয়া ট্যাঙ্কারটি।
এরপর শুক্রবার থেকে স্থানীয়রা সুন্দরবনরে শ্যালা নদী এবং খাল থেকে তেল সংগ্রহ শুরু করে। রোববার স্থানীয়দের তেল সংগ্রহে আরো উদ্ভুদ্ধ করতে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় তেল মূল্য বৃদ্ধি করা।
এরপর সোমবার লিটার প্রতি ৪০ টাকা করে তেল কেনা হলেও সংগ্রহ হয়েছে গত দু’দিনের তুলোনায় কম।
তেল সংগ্রহ কমে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, প্রথম তিন দিনে আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে মোট ৪০ হাজার ২০০ লিটার তেল কিনে ছিলাম। এর মধ্যে শুক্রবার ৫ হাজার ২০০ লিটার, শনিবার ১৮ হাজার লিটার এবং ১৭ হাজার লিটার।
তবে, আজ সারা দিনে সূর্যের দেখা না পাওয়া যাওয়ার সংগ্রহ কম হয়েছে। তাছাড়া দাম আরো বাড়ে কিনা এ জন্যও অনেকে তেল বিক্রি করেনি। যে কারণে আজ সংগ্রহ কম হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে, গত দু’দিন মত সোমবারও বনবিভাগের নিয়োগকরা শ্রমিকরা শ্যালা নদী এবং সংলগ্ন ২১টি ছোট বড় খাল থেকে তেল, তেল লেগে থাকা কচুরি পানা ও অনান্য লতাপাতা, গাছ সংগ্রহ করেছে।