বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনে গত মঙ্গলবার ভোরে সংঘটিত দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে সকল প্রকার বাণিজ্যিক নৌযান চলাচল স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে।
পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এই প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস এবং পুনর্বাসন লক্ষে সরকারি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের নিয়ে সরকারকে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পাঠানো ই-মেইল বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ৯ ডিসেম্বর দুর্ঘটনা কবলিত একটি জাহাজ থেকে সুন্দরবনের ভেতরে তেল নিঃসরণের সাম্প্রতিক ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে ইউএনডিপি (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) বাংলাদেশও উদ্বিগ্ন বোধ করছে। তেল নিঃসরণের এলাকাটি চাঁদপাই অভয়ারণ্য সংলগ্ন, যা বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত সর্ববৃহৎ সংরক্ষিত জলাভূমি এবং গাঙ্গেয় ও ইরাবতি নামক দুটি বিপদাপন্ন ডলফিন প্রজাতির বিচরণ ক্ষেত্র।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই প্রসঙ্গে, শ্যালা নদী পথে সকল প্রকার নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের যে খবর পত্র-পত্রিকায় এসেছে সেটি প্রশংসাযোগ্য। আমরা মনে করি, এ সিদ্ধান্ত সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে। যদিও এ দুর্ঘটনা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে সকল প্রকার বাণিজ্যিক নৌযান চলাচল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তাকে আরও একবার মনে করিয়ে দেয়।’
আরও বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি যে, সচরাচর পরিবেশের ওপর এ ধরনের দুর্ঘটনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে থাকে এবং সেই পরিবেশের পুনঃসংরক্ষণে বহু প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। বনসংলগ্ন জলাভূমির ওপর নির্ভরশীল জনপদের উপরেও এর প্রভাব পড়বে। আমরা বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস এবং পুনর্বাসন লক্ষ্যে সরকারি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের নিয়ে সরকারকে সহায়তা করতে আগ্রহী।’