বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আব্দুল হান্নান হাওলাদার ওরফে কালু (৫৬) নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার গভীর রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের পারকুমারখালী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সন্ত্রাসীরা ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।
হান্নান হাওলাদার পারকুমারখালী গ্রামের প্রয়াত জব্বার হাওলাদারের ছেলে।
খবর পেয়ে পুলিশ অপহ্নত হান্নানের বাড়ি পরিদর্শন করেছে। তবে রোববার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অপহ্নত হান্নানকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
অপহ্নত হান্নান হাওলাদারের মেঝ মেয়ে খালেদা বেগম বিকালে মুঠোফোনে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন। শনিবার সকালে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। গভীল রাতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমাদের বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে।
তারা আমার বাবা হান্নানকে ঘুম থেকে ডেকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, এসময় পরিবারের লোক বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের গুলি করে এবং হত্যা করারহুমকি দিলে আমরা চুপ করে থাকি।
তার অভিযোগ, পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের শিমুল, মফিজুল ও তাইজুলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তার বাবাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
গত বছর এই তিনজন তাদের বাড়ি থেকে সাত আট বস্তা সুপারী চুরি করে নিয়ে যায়। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে তারা চোর বলে চিহ্নিত হয়। এরপর থেকে তারা আমাদের উপর ক্ষুব্দ হয়ে আছে। সেই বিরোধের জের ধরে তারা আমার বাবাকে অপহরণ করেছে বলে তিনি বলেন।
তবে, এব্যাপারে শিমুল, মফিজুল ও তাইজুল নামে যে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হান্নান হাওলাদারকে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম খান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, গত ১৯ নভেম্বর স্থানীয় ইউপি সদস্য সায়েম সরদারের ওপর যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে সেই হামলার ঘটনায় হান্নান হাওলাদার ওরফে কালুর নাম উঠে এসেছে। সেই মামলা থেকে রেহাই পেতে তিনি আত্মগোপণ করে অপহরণ নাটক সাজিয়েছেন কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হান্নানের অপহরণের ঘটনার বিষয়ে তার বাড়ির পাশের প্রতিবেশিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শনিবার রাতে কিছুই শোনেননি। রোববার সকালে তারা হান্নানের বাড়ির সদস্যদের কাছ থেকে ওই ঘটনা শুনেছে বলে আমাকে জানিয়েছে।
পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে।