বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর এলাকায় শীতকালিন টমেটো চাষ করে ব্যপক সাফল্য পেয়েছেন শতাধিক হতদরিদ্র পরিবার।
পতিত জমিতে মাছ চাষের পাশাপাশি তারা এখন আগাম শীতকালীন হাইব্রীট জাতের চমেটো চাষ করছে।
সরেজমিন উপজেলার বল্লভপুর এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, শতাধিক হতদরিদ্র সংখ্যালঘু পরিবারের প্রায় ৫০ একর জমিতে এখন চাষ হচ্ছে টমেটো। আর এর মাধ্যমে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে এখানকার কৃষকদের।
স্থানিয় কৃষক চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস বাগেরহাট ইনফে ডটকমকে জানান, তার দু’বিঘার একখন্ড জমিতে ধান না হওয়ায় অন্যের বাড়িতে কাজ করে অতি কষ্টে সংসার চালাতে হত। অভাবের তাড়নায় এক এনজিও কর্মির পরামর্শে তিনি ঐজমির চারপাশে উচু ভেড়িবাধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করে।
মাছ চাষে নানা প্রতিকুলতা সৃষ্টি হওয়ায় ঘেরের পাড়ে বিভিন্ন সবজি চাষ করেন। ২০১২ সালে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পারামর্শে উচ্চফলনশিল জাতের টমেটো, ছিম, বাধাকটি ও খিরই চাষ শুরু করেন। এবছর আগাম শীত কালিন হাইব্রিট জাতের টমেটো সহ অন্যান্য সবজি চাষ করে খরচ বাদে প্রায় ৪লক্ষ টাকা উপার্জন করেছেন বলে জানান তিনি।
তবে, টমেটোর বাম্পার ফলন হলেও এবার তারা নেয্য মুল্য পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন অনেক কৃষক।
রাশায়নিক সার এবং কিটনাশক ব্যবহার না করে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন বেতাগার মত অর্গানিক পদ্ধত্তি অনুকরণ করেই চাষ করছেন এখনকার স্থানিয় কৃষকরা ।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোতাহার হোসেরন বাগেরহাট ইনফে ডটকমকে জানান, ফসলের মাঝে হলুদ গাছ বা গাঁদা ফুল গাছ লাগালে পোকামাকড়ের অক্রমন কম হয়। তাছাড়া তাদের মাটির গুনগত মান ঠিক রাখতে জৈবসার ব্যবহারের পরামর্শ দেন হয়েছে।
তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রয়ের জন্য বেতাগা ও বাহিরদিয়া এলাকায় কৃষি বিপনন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গহণ করা হয়েছে। এটি নির্মান করা হলে এ অঞ্চলের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমুল্য পাবে কৃষক।
স্থানিষ হতদরিদ্র কৃষকদের দাবি সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা ও চাষাবাদের পরামর্শ পেলে কৃষি কাজের মাধ্যমে দরিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারবে তারা।