৯০ বছরের পুরোনো ভাঙ্গা ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে বাগেরহাটের রামপাল থানার কার্যক্রম।
অস্ত্রাগার থেকে শুরু করে হাজতখানা কিংবা থাকার জায়গা, দীর্ঘ কয়েক বছরের এ সব কিছুর অবস্থাই খুব করুন। ফলে আইনশৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা এই থানার পুলিশের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ ও ঝুঁকি পূর্ণ।
রামপাল থানা সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ আমলের ১৯২৪ সালে বাগেরহাটের রামপাল থানার কার্যক্রম শুরু হয়। পুলিশের প্রাচীনতম এই থানা স্থাপনার নাজুক অবস্থা দীর্ঘ দিনের।
আর এমন জীর্নদশা নিয়েই চলছে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এই থানার কার্যক্রম। থানার মালখানার অবস্থাও নাজুক। নেই অস্ত্র রাখার জন্য সুরক্ষিত কোন জায়গা।
রামপাল থানার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমারাত হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ডিউটি শেষে তাদের অস্ত্র নিজ নিজ খাটের (চৌকি) নিচে বেধে রাখতে হয়। শুধু থানা ভবনই নয়, উপকুলের কাছাকাছি হওয়ায় পরিবেশগত সমস্যারও শেষ নাই এখানে। চারদিকে লোনা পানি। রয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট।
কনস্টেবল মিন্টু মন্ডল ও সাবিনা ইয়াসমিন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, পানিতে মাত্রা অতিরুক্ত লবণাক্তার জন্য এখানে পুকুরের পানিই আমাদের এক মাত্র ভরসা।
ঝুকিপুর্ণ থানা ভবনটিতে পুলিশের থাকার রুমগুলোতে যে ৬টি ফ্যান আছে তাও চলেনা। রাতে ঘুমাতে গেলেও থাকতে হয় ভয়ে, কখন ছাদ ভেঙ্গে তাদের গায়ে পড়ে।
এসআই হাফিজুর রহমান জানান, জেলার রামপাল উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রামপাল থানা। কিন্তু বিশাল এলাকায় যাতায়াতের জন্য পুলিশ ভ্যান পর্যন্ত নেই। পুলিশ কর্মকর্তাদের থাকার জায়গাতো দুরের কথা বসার জায়গাও নেই। এ কারণে জনগণকে সেবা দিতে পারছেনা পুলিশ।
এমন নান সমস্যা নিয়ে চলছে বাগেরহাটের রামপাল থানা। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃর্ষ্টি আকর্ষণ করেছে এ থানায় কর্মরতরা।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, থানা ভবনটি ঝুকিপূর্ণ জরাজীর্ণ, ষ্টাফদের থাকতে খুব কষ্ট হয়। থানার দরজা, জানালার অবস্থাও খুব খারাপ।
থানা ভবনটি পূর্ণ নির্মাণ কিংবা সংস্কারের বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়াটারে অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।