নীরবেই চলে গেল ৩০’ নভেম্বর। এবার বাগেরহাটে পালিত হয়নি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া’র ঘনিষ্ট সহচর বিএনপির সাবেক মহাসচিব এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এস.এম. মোস্তাফিজুর রহমানের ১৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী ছিল গত ৩০ নভেম্বর।
বাগেরহাট সদর আসনের একাধিক বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও আধুনিক বাগেরহাটের রূপকার এ বিএনপি নেতার মৃত্য বার্ষিকী এবার চলে গেল একে বারে নীরবে। তার এবারের মৃত্যু বার্ষিকীতে বাগেরহাট জেলা বিএনপিও পালন করেনি ন্যুনতম কোন কর্মসূচি।
দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৬ সালের ৩০শে নভেম্বর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি।
বাগেরহাট প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য এ.এস.এম. মোস্তাফিজুর রহমান শহরের অদূরে হযরত খাঁনজাহান (র:) এর মাজার সংলগ্ন রনবিজয়পুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। সরকারী চাকুরি জীবন শেষে তিনি যুক্ত হন জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসাবে পরিচিত ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠা লগ্নের ত্যাগী এ নেতা।
এদিকে, তাঁর মৃত্যু বার্ষিকীতে চলতি বছর কোন কর্মসূচি পালন না করায়, সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষের।
এ বিষয়ে জানতে বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আলী রেজা বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাংগঠনিক নানা ঝামেলার কারণে মরহুম এ নেতার মৃত্যু বার্ষিকীর দিনে কর্মসূচি নেয়া যায় নি।
তবে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।