বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গ্রেপ্তার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মওলানা আব্দুল খালেকের (৫৮) বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) গভীররাতে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বিএনপি নেতার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাগানে পুঁতে রাখা একটি দেশি তৈরি পাইপগান ও তিন রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুণ অর রশিদ বাদী হয়ে বিএনপি নেতা খালেকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
এ নিয়ে ওই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে পৃথক দু’টি মামলা হলো।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাকে।
এর আগে বুধবার সকালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা অভিযোগে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের খারুইখালী গ্রামের বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ তাকে চারটি হাতবোমাসহ গ্রেপ্তার করে।
বিএনপি নেতা মওলানা খালেক মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় রাজৈর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম খান দুপুরে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বোমাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মওলানা আব্দুল খালেককে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি তার সংগ্রহে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দেন।
তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে তার খারুইখালী গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি তার অস্ত্র সংরক্ষণের জায়গা দেখিয়ে দিলে পুলিশ বাগানের মাটি খুঁড়ে পলিথিনে মোড়ানো একটি দেশি তৈরি পাইপগান ও বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে।
অপরদিকে, মাওলনা আব্দুল খাকেকে গ্রেপ্তার, বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের গোটা ঘটনাকেই সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।