বাগেরহাটের কচুয়া ও মংলায় পৃথক অগ্নিকান্ডে ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ১০টি বসত ঘর পুড়ে গেছে।
শনিবার বিকালে জেলার মংলা উপজেলার মাকড়ডোন আবাসন ব্র্যাক এবং দিবাগত গভীর রাতে কচুয়া উপজেলার বাঁধাল বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে প্রায় ৩৮ লখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার সকালে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বাঁধাল বাজারের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিন তিতাস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাদের দু’টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত যায়নি।
তিনি বলেন, ‘বৈদ্যুতিক গোলযোগ (শর্ট সার্কিট) থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে’।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারের বিশ্বজিত শীলের সেলুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভানোর আগে বাজারের সন্তোষ কুণ্ডু, শিশির কুণ্ডু ও বিষরি দাসের মুদি দোকান, সুজিত কর্মকার ও শুভংকর রায়ের চায়ের দোকান এবং বিষ্ণু দাসের ফলের দোকান পুড়ে যায়।
বাজার ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, আগুনে বাজারের ৭টি দোকান সম্পূর্ণ এবং ২টি দোকান আংশিক ভষ্মীভূত হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনা স্থাল পরিদর্শন করেছে। এতে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।
এদিকে, শনিবার বিকালে বাগেরহাটের মংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মাকড়ডোন আবাসন ব্র্যাকে অগ্নিকান্ডে ১০টি বসত ঘর পুড়ে যায়।
এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন ৮ জন।
চাদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্যা তারিকুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, আগুনে ওই আবাসন প্রকল্পের ব্র্যাকের ১০টি ঘর পুড়ে গেছে। শনিবার বিকেলে ব্র্যাকের বাসিন্দা বজলুুর রহমানের ঘরের রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগুনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ঘরগুলোতে। এ সময় অন্যান্য ব্র্যাকে থাকা শতাধিক লোক প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এতে ৩০লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আগুন নেভাতে গিয়ে আহত ৮ নারী-পুরুষকে মংলা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জাননা তিনি।
এদিকে, ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি পরিদর্শন করেছেন- উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোল্যা তারিকুল ইসলাম, আওয়ামী নেতা ইব্রাহিম হোসেন, শেখ আ: রহমান, শেখ আব্দুস সালাম, শেখ কামরুজ্জামান প্রমুখ।