বাগেরহাটে এক তরুরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, অতঃপর হত্যার চেষ্টা করেছে দূর্বৃত্তরা।
অসহায় ওই পরিবারটি বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন ফল পাচ্ছে না।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আহুত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই তরুনীর পিতা বাগেরহাট সদর উপজেলার জয়গাছী গ্রামের মোঃ আফজাল শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আফজাল শেখ উল্লেখ করেন, তার মেয়ে একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। গত ১৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সে ঢাকা থেকে এসে বাগেরহাট বাস টার্মিনালে নামে। পরে বাড়ি যাওয়ার জন্য ষ্টান্ডে দাড়িয়ে থাকা একটি ইজি বাইকে ওঠে।
ইজি বাইকের চালক সদর উপজেলার বেমরতা গ্রামের মোসলেম সরদারের ছেলে দিপু সরদার গাড়ি চালিয়ে দড়া টানা ব্রীজের উপরে যায় এবং সেখান থেকে অজ্ঞাত নামা আরো দুইজনকে ওই গাড়িতে তোলে। কিছু দুর গিয়ে তারা তার মেয়েকে জোরপুর্বক ধরে বেমরতা এলাকার দিপুর মাছের ঘেরে নিয়ে যায়।
দিপু জোর করে তার মেয়েকে ধর্ষন করে। তাদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায় দিপু ক্ষিপ্ত হয়ে স্বপ্নার মুখের উপর কিল, ঘুষি ও চড় মারতে থাকে। এতে স্বপ্নার নিচের পাটির দুটি দাত পড়ে যায় এবং কান ও চোয়ালের কাছে রক্তাক্ত জখম হয়।
এসময় তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশে শরিরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাতাড়ি আঘাত করে। এসময় সে অচেতন হয়ে গেলে দূবৃত্তরা তাকে মৃত ভেবে তার কাছে থাকা নগদ টাকা, স্বর্নের চেন ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়।
তিনি বলেন, জ্ঞান ফিরে আসলে কোন রকমে উঠে রাত ৪টার দিকে বাড়ি যায় সে। তখন গুরুতর আহত মেয়েকে আমরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কতৃপক্ষ। চিকিৎসা নিয়ে অবস্থার কিছু উন্নতি হলে ওই সব লম্পটদের লোকজন মামলা না করে মিমাংসার প্রস্তাব দিয়ে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
এখন তারা ইউপি চেয়ারম্যানসহ সমাজের বিভিন্ন ব্যাক্তিদের কাছে ধর্না দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন মেয়টির বাবা।
অর্থের অভাবে থানা পুলিশও করতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি। এব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ওই তরুনীর পিতা।