বাগেরহাটের রামপালে ইউপি চেয়ারম্যান এক আ.লীগ নেতাকে আদালত জেল হাজতে প্রেরন করায় মামলার বাদীকে হুমকী দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে দায়িত্বরত অবস্থায় শিক্ষিকাকে মারধরের মামলায় মঙ্গলবার বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং একই উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুলকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত।
আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের করার পর থেকে চেয়ারম্যানের লোকজনের হুমকীকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে বাদী পরিবার জানিয়েছেন।
হামলার শিকার তথ্যসংগ্রহকারী শিক্ষিকার স্বামী ও মামলার বাদী মোঃ রবিউল আলম খোকন বাগেরহাট ইনফো ডটকেমকে অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার বাবুল চেয়ারম্যানকে আদালত জেল হাজতে প্রেরন করার নির্দেশ দেয়ার সাথে সাথে আদালতের বাইরে থাকা তার বাহিনীর সদস্যরা প্রকাশ্যে তাকে হত্যার হুমকী দেয়। পরে সে জীবণ বাঁচাতে কোন ভাবে পালিয়ে তার আইনজীবী মোঃ মাহফুজার রহমানের (লাহু) চেম্বারে অবস্থান নেন।
‘বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ বাগেরহাট ডিবি পুলিশকে জানালে তারা আমাকে ওই আইনজীবীর চেম্বার থেকে ডিবি অফিসে নিয়ে যায়। পরে পুলিশের সাহায্যে তিনি বাড়ী পৌঁছাই।’
বুধবার সন্ধায় মুঠোফোনে বাগেরহাট ইনফো ডটকেমকে তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান বাবুলের ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে আমি এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’
চলতি বছরের ১৪ জুন ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রমে তথ্যসংগ্রহকালে রামপাল উপজেলার বড় কাটালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বেগম খাদিজা ইয়াসমিন ও তার স্বামী মোঃ রবিউল আলম খোকনকে ওই চেয়ারম্যান মারধর করেন। এ ঘটনায় খাদিজা ইয়াসমিনের স্বামী মোঃ রবিউল আলম গত ১০ জুলাই রামপাল থানায় অভিযোগ (মামলা) দায়ের করেন।
মঙ্গলবার সকালে আলেচিত ওই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট নুসরাত জাহানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বেলা ৩টায় রামপাল উপজেলার বড়কাটালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গেনে ওই ইউপি চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে বাগেরহাট জেলা সদর, রামপালসহ বেস কিয়েকটি উপজেলায় দু’দিন আগে থেকে পোস্টারিং করা হয়।
ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব তালুকদার আঃ খালেক -এর উপস্থিত থাকবার কথাও উল্লেখ কারা হয় পোস্টারে। এতে অতিধিবৃন্দের তালিকায় রামপাল ও মংলার দুই উপজেলা চেয়ারম্যান, ওসি থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে, কারাগারে থাকায় সে সংবর্ধনা আয়োজন পন্ড হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ওই সংবর্ধনা কমিটির সভাপতি পেড়িখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাওলাদার দেলোয়ার হোসেনের কোন বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।