পৌর শহরসহ বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করেছে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
রোববার সকাল থেকে বাগেরহাট ইজিবাইক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ ধর্মঘট পলন করে তারা। ফলে বাগেরহাট পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকার যাত্রীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।
ধর্মঘট চলাকালে বেলা ১১টার দিকে চালকরা বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডের ট্রাফিক মোড় এলাকায় জড়ো হয়। এখান থেকে তারা তাদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অভিমুখে রওনা দিলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
পরে বাগেরহাট ইজিবাইক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নের্তৃবৃন্দ ইজিবাইক চালকদের ছাড়াই জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং পৌরসভার মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দেন। ইজিবাইক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রাকশ করেছে সিপিবি।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- ইজিবাইক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি শেখ সেলিম, সাধারন সম্পাদক রেজাউর রহমান মন্টু, জেলা সিপিবি’র সাধারন সম্পাদক ফররুখ হাসান জুয়েল ও পৌর শাখার সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম যাদু।
বাগেরহাট ইজিবাইক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি শেখ সেলিম বলেন, বাগেরহাট পৌরসভা, ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ, খানজাহান (রহ.) মাজার, সুন্দরবন রিসোর্টসহ আশপাশ এলাকার দর্শনীয় স্থানগুলোতে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চলাচলের দাবিতে রোববার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করে। এসব এলাকায় ইজিবাইক চলাচল একবারে বন্ধ হয়ে গেলে সহস্রাধিক ইজিবাইক চালক বেকার হয়ে পড়বে। ফলে এই চালকদের পরিবারগুলোকে অনাহারে অর্ধাহারে কাটাতে হবে।
তাই এসব চালকরা যাতে পৌরসভাসহ বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চালাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে সরকারে প্রতি দাবি জানান তিনি। সরকার তাদের এ দাবি মেনে না নিলে তারা কঠোর কর্মসূচি দেবে বলে হুশিয়ারী দেন ওই নেতা।
এ ব্যাপারে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ১০ নভেম্বর থেকে সরকার দেশের সকল সড়ক ও মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাগেরহাটে ওইসব যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের তেমন কিছু করার নেই।