সুন্দরবনে র্যাবের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দস্যু দারোগা বাহিনীর প্রধারসহ দুই দস্যু নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- দারোগা বাহিনীর প্রধান এনামুল হাওলাদার ওরফে দারোগা (৩৪) ও এই বাহিনীর সদস্য সাইফুল (২৪)। তাঁদের দুজনের বাড়ি খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায়।
মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক এলাকার আড়ুবাড়িয়ার খালের মাথায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৮) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপপরিচালক মেজর রুম্মন মাহমুদ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনাস্থল থেকে ‘বনদস্যুদের ব্যবহৃত’ ১৩টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচটি ধারালো অস্ত্র এবং ১৬৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান।
তিনি বলেন, বনদস্যু এনামুল হাওলাদার ওরফে দারোগা ৮-১০ জন সদস্যকে নিয়ে সুন্দরবনের আড়ুবাড়িয়ার খালের মাথায় অবস্থান করছে- এমন খবরের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। বনদস্যুরা তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে র্যাবও পাল্টা গুলি করে।
সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকে ৭টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধের পর বনদস্যুরা সুন্দরবনের ভেতরে পালিয়ে গেলে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে এনামুল হাওলাদার ও তার সহযোগী সাইফুলের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
এই দারোগা বাহিনী সুন্দরবন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপহরণ ও চাঁদাবাজি করে আসছিল বলেও জানান তিনি।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে একটি বিদেশি শ্যুটারগান, তিনটি দেশি বন্দুক, তিনটি একনলা বিদেশি বন্দুক,একটি থ্রি জিরো কাটা রাইফেল, পাঁচটি পাইপগান, ১৬৫টি গুলি রয়েছে। এ ছাড়া একটি শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, সোলার প্যানেল, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, খাদ্য সামগ্রী, সদ্যুদের ব্যাবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ, নিহত দস্যুদের লাশ, ট্রলারসহ অনান্য মালামাল বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করার প্রকৃয়া চলছে।