দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) থেকে সুন্দরবনে শুরু হচ্ছে ক্যামেরা পদ্ধতিতে বাঘ গণনা।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ক আঞ্চলিক সহযোগিতায় ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত এই গণনা চলবে।
এবার গণনায় অংশ নিচ্ছে নিচ্ছে ৩০ জন মাঠকর্মী। ব্যবহার করা হবে ৮৯টি ক্যামেরা।
ওয়াইল্ডলাইফ ম্যানেজমেন্ট ও ন্যাচার কনজারভেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জাহিদুল কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ইতিমধ্যে সুন্দরবনের অভায়ারন্য নীলকোমল এলাকায় পৌঁছে গেছে বাঘ গণনার কাজে নিয়োজিত কর্মীরা। মঙ্গলবার বনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাঘ গণনার জন্য বিশেষ ধরনের ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে।
দু’বছর মেয়াদী এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর আগে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপড বাঘ গণনার প্রথম ধাপ শেষ হয় গত এপ্রিলে। এ সময় বাঘের চলাচল ও ছবি ধারণের জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ৮৯টি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়েছিলো। প্রতিটি ক্যামেরা টানা বিশ দিন ধরে প্রায় তিনশত বর্গ কিলোমিটার এলাকার ছবি ধারণ করতে সক্ষম।
তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ের গণনার ফলাফল ঘোষণা করা হবে না। ধারণকৃত ছবি বিশ্লেষণের পর বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা হবে। বাংলাদেশ টাইগার এ্যাকশন প্লান-২০০৯-২০১৭, ন্যাশনাল টাইগার রিকভারি প্রোগ্রাম ও বন আইন-২০১২ সংশোধনসহ বাঘ সংরক্ষণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
চলতি বাঘ গণনা শেষে হরিণ ও অন্যান্য বন্য প্রাণীও গণনা করা হবে বলে জানান জাহিদুল কবির।
২০০৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৪০টি বাঘ রয়েছে। ভারত অংশে রয়েছে ২১৭টি বাঘ। ইউএনডিপি পদচিহ্ন ব্যবহার করে এই গণনা করে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮২ সালে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৫৩টি বাঘ ছিল। ১৯৮৫ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫০টি। তবে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা পরিচালিত এক জরিপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ৩৬৯টি।