প্রচ্ছদ / খবর / নিরাপত্তার দাবিতে নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘট ২য় দিনে

নিরাপত্তার দাবিতে নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘট ২য় দিনে

 

Cargo-picনদী পথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধ ও নৌযান শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে সারাদেশে চলা নৌ শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনের মত চলছে।

ফলে মংলা বন্দরসহ দেশের সকল সমুদ্র এবং নদী বন্দর গুলোতে নৌযান শ্রমিক সংশ্লিষ্ট সকল কাজ বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের (কেন্দ্রীয়) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম মাস্টার রোববার দুপুরে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ‘সরকার যতক্ষন পর্যন্ত নৌ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।’

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মো. শাহ আলম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, দেশের নৌপথগুলোতে অন্তত ১০ হাজার নৌযান  (কোস্টার, কার্গো ও ট্যাংকার) পণ্য ও যাত্রী পরিবহন করে থাকে। এসব নৌযানে লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

“প্রশাসন এদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কোন নৌশ্রমিক কাজে যোগ দেবে না।”

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের মংলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরি বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, সারাদেশের মত মংলায়ও সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

মংলা বন্দরের হারবার মাস্টার মোঃ আকতারুজ্জামান জানান, জাহাজে পণ্য খালাসের কাজ চলছে। এরপর এই পন্য বিকালে বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হবে । তখন বোঝা যাবে নৌ শ্রমিকরা কাজ করবে কি-না।

ডাইরেক্টর ট্রাফিক আব্দুস সালাম জানান, বন্দরের জেটিতে কাজ চলছে। তবে নৌযান শ্রমিক সংক্রান্ত কাজ বন্ধ রয়েছে।

মংলা বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু এন্ড সন্স কোং এর স্বত্তাধীকারী এইচ,এম দুলাল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, নৌ শ্রমিকদের কর্মবিরতির (ধর্মঘট) কারণে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস ও পরিবহণ হচ্ছে না, এতে জাহাজ মালিক ও আমরা ব্যবসায়ীরা দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।

আলোচনা সাপেক্ষে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে অচল বন্দরকে সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে “কর্ণফুলি-৫” নামে একটি কোস্টার (কার্গো জাহাজ) লক্ষ্মীপুর-ভোলার বাত্তিরখাল এলাকায় পৌঁছুলে ডাকাতদের কবলে পড়ে। দস্যুরা এসময় ওই কোস্টারে থাকা ১১ নাবিককে মারধর করে নগদ টাকা ও মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ওই কোস্টারের ৭ নাবিক নিখোঁজ ছিলো। এছাড়া নদী পথে অব্যহত চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও দস্যুতা বন্ধ এবং নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি (ধর্মঘট) শুরু করে শ্রমিকরা।

০৯ নভেম্বর ২০১৪ :: আবু হোসাইন সুমন ও আরিফ সাওন,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এজি/এস/আই হক-এনআরএ/বিআই

About ইনফো ডেস্ক