ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে বাগেরহাটের মংলা পোর্ট পৌরসভা।
ডিজিটাল মংলা শহর গড়ার লক্ষে এমন উদ্যোগ বলে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানিয়েছেন মংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র জুলফিকার আলী।
সোমবার (০৩ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে সিসি ক্যামেরা বসানোর এ কার্যক্রম।
শহরের নিরাপত্তা এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে শহরের ৮টি পয়েন্টে স্থাপন করা হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট।
নির্ধারিত পয়েন্টগুলো হলো -১নং পৌর যাত্রী ছাউনী, চৌধুরীর মোড়, মাদরাসা রোডের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, শ্রমিক সংঘ মোড়/ শাহাদাতের দোকানের সামনে, সিঙ্গাপুর জেটির সামনে, পাওয়ার হাউসের মোড়/ থানার সামনে, উপজেলার সামনে ও ফেরিঘাট এলাকায়।
মেয়র জুলফিকার আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ডিজিটাল শহর গড়াল লক্ষে এরই মধ্যে শহরের ১৯ দশমিক ৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে সাউন্ড সিস্টেম (প্রচার মাইক)। শুরু হয়েছে মংলা শহরকে ফ্রি নেট (ওয়াইফাই) জোনের আওতায় আনার কার্যক্রম।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে লাগানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।
মেয়রের দাবির মাধ্যমে- যৌন হয়রানি বা ছোটখাট অনেক অপরাধীরা এখন সতর্ক হবে। প্রতিরোধ করা যাবে নানা অপরাধ। আর অপরাধ বা অপরাধীদেরও সনাক্ত করা যাবে সহজে।
ব্যাপারে মংলা পোর্ট পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইউনুস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন- সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করার জন্য পৌরসভার ভেতরে একটি সেল থাকবে। ক্যামেরায় বিপদ-আপদ ধরা পড়লেই মাইকের মাধ্যমে পৌরবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এজন্য নির্ধারিত লোক নিয়োগ থাকবে। পৌরসভার প্রতিটি মোড়ে এ ধরনের ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মংলার পৌর মেয়র জুলফিকার আলী আশাবাদ জানিয়ে বলেন, মংলা পোর্ট পৌরসভা হবে দেশের প্রথম ডিজিটাল শহর। এ লক্ষে সার্বিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে তিনি বলেন, পৌরসভাকে ডিজিটালাইজডের আওতায় আনতে প্রতিটি ওয়ার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলছে সার্ভে কাজ।
এদিকে, পৌর কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েন শহরের সাধারণ জনগণ।
এব্যাপারে মংলা বণিক সমিতির সভাপতি হাবিব মাস্টার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন- ইতোমধ্যে পৌর ভবনে বসানো সিসি ক্যামেরার কারণে ঘুষ লেনদেন বলতে গেলে বন্ধ হয়ে গেছে। এর মাধ্যমে অপরাধ মূলককর্মকাণ্ড এবং দুর্নীতি কমে আসবে, বাড়বে পৌর সেবার মান।