বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে।
জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বাগেরহাটসহ গোটা দেশ। আকস্মিক এ বিদ্যুৎ বিপর্যয়কে ‘কারিগরি ত্রুটি’ বললেও এর কারণ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা কোন পাওয়া যায়নি বিদ্যুতের শীর্ষ কর্তাদের কাছ থেকে।
রাত ৯টা ৭ মিনিটে বাগেরহাট শহরের কিছু এলকায় প্রথম বিদ্যুৎ আসে। এসময় উৎসব আমেজে উল্লাস করে দির্ঘ্য বিরতির পর বিদ্যুতকে স্বাগত জানায় বাগেরহাটবাসী।
সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের সব গুলো এলকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাবস্থা স্বচল হয়। তবে, তখনও কেবল মাত্র মংলা উপজেলা শহর ব্যতিত জেলার পল্লি বিদ্যুৎ এর আওতাধীন অনান্য এলাকা গুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়নি।
শনিবার রাত শোয়া ১০টা নাগাত জেলার মোটামুটি সব গুলো এলকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়। এসে স্বাস্তি ফিরে এসেছে জন সাধারণের মাঝে।
এদিকে, দিনভরই বিদ্যুৎ না থাকায় পাঠকেরা ফোন করে তাদের ভোগান্তি, দূর্ভোগ আর চারপাশের নানা গুজবের কাথা বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান।
শহরের আমলাপাড়া এলকার গৃহিণী মিসেস ফারিহা জন্ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে রাত পৌনে ১০টায় তাদের এলকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হবার খবর জানান। একই সাথে তিনি বিদ্যুৎ পেয়ে তার উৎসাচ প্রকাশ করেন।
রাত ১০টা ১২ মিনিটে সদর উপজেলার পোলঘাট পল্লী বিদ্যুৎ এলকা থেকে বিদ্যুৎ পাবার খবর জানান সরকারি পি.সি. কলেজের ছাত্র মো. মুরাদ। কাছাকাছি সময় জেলা মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে বিদ্যুৎ পাবার কথা জানান সৌমিক ফারুকি।
তবে, সন্ধার পর থেকে জেলা শহর ছাড়াও বেশ কিছু উপজেলা থেকে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে ফোন করে পাঠকেরা দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে নানা গুজব আর গুঞ্জন এর কথা জানান এবং এর স্বত্যতা সর্ম্পাকে জানতে চান।
সর্বশেষ পাওয়া (রাত ১০টা ৫৫ মিনিট) তথ্য অনুযাই, বাগেরহাট ছাড়াও দেশের ৩০ জেলায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। রাতের মধ্যেই সারাদেশে ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা বিদ্যুৎ বিভাগের।