বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নে বিএনপির দু’টি কার্যালয় ও বিএনপি নেতার দু’টি ঘরে হামলা চালিয়েছে যুব ও ছাত্রলীগের কর্মীরা।
এ সময় ওই কার্যালয় দুটির আসবাপত্র, টেলিভিশন এবং জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচূর করে হামল কারিরা। হামলায় আহত হয়েছে তিন বিএনপির নেতা-কর্মী।
জানা গেছে, সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হাওলাদারের কথা কাটাকাটির জের ধরে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায়। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়, রোববার বেলা ১১ টায় একটি বৈদ্যুতিক খুটি স্থাপনকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন এবং স্থানীয় প্রাক্তন ইউপি সদস্য ও বিএপিনেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে।
এ ঘটনার পর দুপুর ১২ টায় সাউথখালী ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় অর্ধ-শত নেতা কর্মী একত্রিত হয়ে তাফালবাড়ি বাজারের দুটি বিএনপি কার্যালয়ে তারা হমালা চালায়। হামলায় বিএনপি কর্মী কবির মৃধা (৩৫), তাফালবাড়ি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি চাঁন মিয়া আড়তদার (৬০) ও ছাত্রদল কর্মী সুমন আহত হয়।
এ সময় কার্যালয় দুটির চেয়ার, টেবিল, রঙিন টেলিভিশন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর করে তারা। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের মালিকানাধীন ২টি ঘরে তারা হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে।
আহত কবির মৃধা ও সুমনকে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাউথখালী ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন হামলা, ভাংচুর ও দলীয় কর্মী আহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর তাফালবাড়ি বাজার থেকে তাদের নেতা কর্মীদের বের করে দেয়া হয়েছে। তিনি এ ঘটনার দায়ীদের বিচার দাবী করেছেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন তার সাথে কথা কাটাকাটির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা সংঘটিত হওয়ার খবর পেয়ে স্থাণীয় জনতা তাদেরকে ধাওয়া করে।
খবর পেয়ে শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ আবুল কালাম আজাদ (পিপিএম) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।