শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার পর থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে সারাদেশ। এর ফলে বাগেরহাট জেলার সর্বত্রই এখন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
বেলা ১২টা থেকে বাগেরহাট শহরের রেল রোড, লঞ্চঘাট, দশানীসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাগেরহাট ইনফো ডটকম –এর পাঠকরা ফোনে বিদ্যুৎ না থাকার কারণ জানতে চেয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় গ্রিডে (ন্যাশনাল গ্রিড) ত্রুটির কারণে এমনটি ঘটেছে। তবে কি ত্রুটি তা এখনো কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬টি, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৯টি ও চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭টি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে সারাদেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ঘণ্টা খানেকের মধ্যে রাজধানী ঢাকার কিছু অংশে এবং সন্ধ্যা নাগাদ সারাদেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে পারে।
বাগেরহাট শহরের লঞ্চঘাট এলাকার ব্যবসায়ী সৈয়দ বোরহান উদ্দিন মুকুল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেছে। এখনও (আড়াইটা) বিদ্যুৎ আসেনি। ফলে চরম সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। একই কথা বলেন খানজাহান (র:) এর মাজার এলকার বাসিন্দা কাওসার আহম্মদ শাওন।
দেশের শির্ষস্থানীয় একটি অনলাই পত্রিকার খুলনা জেলার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মাহবুবুর রহমান মুন্না বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে, পদ্মার এ পারের ২১টি জেলাতেই বিদ্যুৎ নেই বলে জানতে পেরেছি। স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস তেমন তথ্য দিতে পারছে না। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে বিপর্যয় কাটাতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে।
বাগেরহাট ইনফোর মংলা এবং মোরেলগঞ্জ করেসপন্ডেন্টও মুঠোফোনে উপজেলায় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, দেশের কোথাও বিদ্যুৎ নেই। এরই মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবস্থাও নাজুক হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় সারাদেশের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) বাগেরহাট অফিস সূ্ত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে ভেড়ামারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আসে সেই লাইনটি ট্রিপ হয়ে যাওয়ার প্রভাবে এ বিপর্যয় হয়েছে। তবে, কখন নাগাদ জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা জানাতে পারেনি তারা।