বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের সময় আবারো দু’টি ফিসিং ট্রলারসহ ২৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌ বাহিনী।
শুক্রবার দুপুর ৩ টায় মংলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর এলাহী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে মংলা বন্দর থেকে প্রায় ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে ১২ নং বয়া এলাকা থেকে নৌ বাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে।
এনিয়ে ১৫ অক্টোবর থেকে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে অনুপ্রবেশের করে মাছ ধরার সময় ৯২ ভারতীয় এবং ২০ শ্রীলঙ্কান জেলেকে আটক করল বাংলাদেশ নৌ বাহিনী।
নৌ বাহিনীর বরাত দিয়ে এসআই মঞ্জুর এলাহী বাগেরহাট ইনফোকে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মংলা বন্দর থেকে প্রায় ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে ১২ নং বয়া এলাকায় বাংলাদেশের জলসীমা ঢুকে মাছ ধরছিল দু’টি ভরতীয় ট্রলার।
এসময় এই এলাকায় টহলরত বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জাহাজ বিএনএস তিস্তা “এফবি দক্ষিণ শরী” ও “এফবি জয় হনুমান” নামের দু’টি ট্রলার সহ ওই ২৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করে।
তিনি আরো জানান, আটককৃতদের দুপুরের দিকে মংলার দিগরাজ নৌ-ঘাটিতে আনা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর সন্ধায় তাদের মংলা থানায় হস্তান্তর করবে নৌ বাহিনী।
শনিবার তাদেরকে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে, আটক ভারতীয় জেলেদের দাবি তারা রাতের অন্ধকারে স্রোতের টানে বাংলাদেশ জলসীমায় ঢুকে পড়েছে। এছাড়া সমুদ্রে বাংলাদেশ ভারত সীমায় কোন প্রতীকি চিহ্ন বা সীমানা নির্ধারণী স্থাপনা (বয়া/লাইট) না থাকায় দিকভুল করেই এদেশের সামীনায় চলে আসছে বলেও দাবী করেন ওই জেলেরা।
অন্যদিকে, দেশের পশ্চিম ও মধ্য উপকূলীয় এলাকার জেলেদের দির্ঘ্য দিনের দাবি ভারতীয় জেলেরা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ঘুকে এদেশের মৎস সম্পদ লুটে নিচ্ছে। তাদের কারনে দেশিয় জেলেরা সাগরে ঠিক মতো মাছ ধরতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, এর আগে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবন উপকূল থেকে পাঁচ দফায় আটক ৬৪ ভারতীয় জেলে বর্তমানে বাগেরহাট জেলা কারাগারে আটক করেছেন।