বাগেরহাটে রায় পরবর্তী পুলিশি অভিযানে জামায়াতের এক উপজেলা আমিরসহ তিন জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলা জামায়াতের আমির ডা: আব্দুল লতিফ, মোরেলগঞ্জ উপজেলার গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের ওয়ারেশ হাওলাদারের ছেলে আব্দুর রহিম হাওলাদার (২২) ও খালকুলা গ্রামের আব্দুল কাদের ডাকুয়ার ছেলে ওবায়দুল ইসলাম ডাকুয়া (২০)।
মানবতাবিরোধী অপরাধে বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের আমির ও একাত্তরের আল বদর বাহিনীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির আদেশ দেওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আলী আজম খান বৃহস্পতিবার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সদর থানা জামায়াতের আমির আব্দুল লতিফসহ ওই ৩ জনকে আটক করে।
এদিকে, রায়ের প্রতিবাদে জামাতের ডাকা ৭২ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিনে স্বাভাবিক ছিল বাগেরহাট ও মংলা বন্দর।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতালে জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
স্বাভাবিক ছিল দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলায় পন্য বোঝাই ও খালাস কাজ। মংলা ইপিজেড ও শিল্পাঞ্চলে উৎপাদন কাজও চলেছে নির্ভিঘ্নে। অনান্য দিনের মতই খোলা ছিল শহরের অধিক অংশ ব্যাংক-বীমা, অফিস-আদলত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তবে আভ্যান্তরিন রুটে বেশ কিছু যান চলাচল করলেও বাগেরহাট থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো পরিবহন।
হরতালকে কেন্দ্র করে যে কোন ধরনের নাশকতা এড়াতে প্রধান প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ এলকায় পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যাপক সতর্কাবস্থায় দেখা গেছে। বিশেষ করে জামায়াত অধ্যুষিত এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ছিল কড়া নজরদারি।
হরতালে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) নিজামুল হক মোল্যা বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, জেলার কোথাও এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হরতালে যেকোন সহিংসতা এড়াতে সতর্কাবস্থায় রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।