দ্বিতীয় ধাপে সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী নভেম্বরে। এবারও গণনায় ব্যবহৃত হবে ক্যামেরা।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ক আঞ্চলিক সহযোগিতায় এবং বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নভেম্বরে শুরু হওয়া এই চলবে আগামী জুন পর্যন্ত।
এবার গননায় সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে নিচ্ছে মোট ৩০ জন মাঠকর্মী। যারা বাঘ গণনার জন্য ব্যবহার করবেন ৮৯টি ক্যামেরা। এবারই প্রথম বাঘ গণনার জন্য পদচিহ্নের পরিবর্তে ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওয়াইল্ডলাইফ ম্যানেজমেন্ট এবং ন্যাচার কনজারভেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জাহিদুল কবিরের বরাত দিয়ে সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানান, দু’বছর মেয়াদী এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
এর আগে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপড বাঘ গণনার প্রথম ধাপ শেষ হয় গত এপ্রিলে। এ সময় বাঘের চলাচল ও ছবি ধারণের জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ৮৯টি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়েছিলো। প্রতিটি ক্যামেরা টানা বিশ দিন ধরে প্রায় তিনশত বর্গ কিলোমিটার এলাকার ছবি ধারণ করতে সক্ষম।
জাহিদুল কবির বলেন, প্রথম পর্যায়ের গণনার ফলাফল ঘোষণা করা হবে না। ছবি বিশ্লেষণের পর বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা হবে।
বন কর্মকর্তা আরো জানান, বাংলাদেশ টাইগার এ্যাকশন প্লান-২০০৯-২০১৭, ন্যাশনাল টাইগার রিকভারি প্রোগ্রাম এবং বন আইন-২০১২ সংশোধনসহ বাঘ সংরক্ষণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এর আগে ২০০৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৪০টি বাঘ রয়েছে। ভারত অংশে রয়েছে ২১৭টি বাঘ।
ইউএনডিপি পদচিহ্ন ব্যবহার করে এই গণনা করে। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮২ সালে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৫৩টি বাঘ ছিলো। ১৯৮৫ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫০টি।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা পরিচালিত এক জরিপে বলা হয়, বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ৩৬৯টি।
ন্যাচার কনজারভেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত ডিএফও জাহিদুল কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, চলতি বাঘ গণনা কার্যক্রম শেষে হরিণ ও অন্যান্য বন্য প্রাণীও গণনা করা হবে।