বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা পরিষদে সরকারি ১৭টি দপ্তরের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) শীর্ষ ১১ দপ্তরেই নেই কোনো কর্মকর্তা।
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি এ দপ্তরগুলোয় কোন কর্মকর্তা না থাকায় শরণখোলা উপজেলার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড এখন থমকে দাড়িয়েছে।
এছাড়া জনবল কাঠামো অনুযায়ী উপজেলার এসব দপ্তরগুলোতে চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ২৪৬ জন। দাপ্তরিক প্রধান না থাকার সুযোগে নিম্নপদের এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এখন নিয়মিত অফিস করছেনা। ফলে নৈমিত্তিক কাজ ব্যাহত হওয়ায় উপজেলাটি একপ্রকার অচল হয়ে পড়েছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) কেএম মামুন উজ্জামান ৫জুন বদলি হওয়ার পর থেকে আর কোনো ইউএনও শরণখোলায় যোগদান করেননি। ফলে ৪ মাস ধরে শূন্য রয়েছে উপজেলার প্রধান এপদটি। ১০ বছর ধরে শূন্য রয়েছে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) পদ।
এছাড়া, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেরেনারী সার্জন, সমাজসেবা কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও সাবরেজিস্ট্রার নেই দীর্ঘদিন ধরে। গুরুত্বপূর্ণ এ পদগুলো শূন্য থাকায় কর্মচঞ্চলতা হারিয়ে ফেলেছে উপজেলাটি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামালউদ্দিন আকন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) ১১টি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মকর্তা না থাকায় নিয়মিত মাসিক সমন্বয় সভা হচ্ছেনা। একারনে উন্নয়নমূলক কোনো কাজেরও সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছেনা। দুর-দুরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ উপজেলা পরিষদে এসে কোনো কাজ করাতে পারছেন না। তাছাড়া দাপ্তরিক প্রধান না থাকায় নিম্নপদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের ইচ্ছেমতো অফিস করছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আরো জানান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। এখানে ১০ বছর ধরে কোনো কর্মকর্তা নেই। একারনে জমির নামজারি (মিউটেশন) করাতে না পেরে জমি কেনাবেচা করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ।
দীর্ঘদিন এসব পদ শূন্য থাকায় এক প্রকাশ অচল হয়ে পড়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এ উপজেলার বেশ কিছু গুরুত্ব পূর্ণ কার্যক্রম। যার ফলে, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সুফল থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে শরণখোলাবাসী। জরুরী ভিত্তিতে শূন্যপদে কর্মকর্তা পদায়নের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন উপজেলার জন প্রতিনিধিসহ সাধারন মানুষ।