দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মংলার প্রবেশ মুখে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকার ডুবো চরে আটকে পড়া সারবাহী বিদেশি জাহাজটি দু’দিনেও উদ্ধার হয়নি।
বুধবার সকালে মংলা বন্দর থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে কোরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ “এম.ভি ওশান স্টার” বন্দরে আসার পথে ডুবো চরে আটকা পড়ে।
জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট ট্রাস্ট শিপিংয়ের প্রতিনিধি ফেরদৌস কবির বাগেরহাট ইনফে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) আমদানি করা ১৯ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে কোরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি ওশান স্টার মংলা বন্দরে আসছিল।
পথিমধ্যে বুধবার সকাল ১১টার দিকে বন্দরের প্রবেশমুখে হিরণ পয়েন্টের জুলফিকার চ্যানেলের ফেয়ারওয়ের ১২ নম্বর বয়া সংলগ্ন এলাকায় ডুবে চরে আটকে যায়। জাহাজে অবস্থানরত ১৮ নাবিক সুস্থ রয়েছেন।
জাহাজটি উদ্ধারে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লাইটারেজ করে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন সার খালাসের পর জাহাজটিকে হালকা করে চর থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ‘ওশান স্টার’ জাহাজটি স্থানীয় এজেন্ট ফেরদৌস কবির।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার আক্তারুজ্জামান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, প্রবল স্রোতের মুখে জাহাজটি ডুবোচরে আটকে যায়। ডুবোচরে আটকে গেলেও এটি ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে।
লাইটারেজ করে কিছু সার খালাসের পর ডুবো চর থেকে জাহাজটি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, জাহাজটি বন্দর চ্যানেলে আটকে পড়লেও অন্যান্য জাহাজ চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না বলে জানান বন্দরের হারবার বিভাগের ওই কর্মকর্তা।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় “এম ভি তুপিমিডেন” নামে ফিলিপিনের পতাকাবাহী অপর একটি বিদেশি জাহাজ ডুবোচরে আটকে গিয়েছিল। পরে লাইটারেজ করে কিছু সার খালাস মাধ্যমে জাহাজটিকে হালকা করে ডুবোচর থেকে মুক্ত করা হয়।