চতুর্থ দফায় বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে আবারও একটি ফিসিং ট্রলারসহ ১৩ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মংলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর এলাহী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দুপুরে মংলা বন্দর থেকে প্রায় ৮৫ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলকায় মাছ শিকারের সময় “এফবি আবির” নামে একটি ভারতীয় ট্রলারসহ ওই ১৩ জেলেকে আটক করে নৌ বাহিনীর সদস্যরা।
আটক ১৩ ভারতীয় জেলেকে বাগেরহাটের মংলা উপজেলার দিগরাজে অবস্থিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটিতে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদেরকে মংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
নৌ-বাহিনীর বরাত দিয়ে এসআই মঞ্জুর এলাহী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে বঙ্গোপসাগরের ওই এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিল নৌ বাহিনীর জাহাজ বিএনএস পদ্মা। এসময় তারা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার একটি ভিনদেশি ট্রলারকে মাছ ধরতে দেখে।
পরে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ১৩ ভারতীয় জেলেসহ “এফবি আবির” নামের ফিসিং ট্রলারটিকে আটক করে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।
মঞ্জুর এলাহী আরও জানান, আটক জেলেদের মংলায় অবস্থিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটিতে আনা হয়েছে। সন্ধ্যায় তাদের মংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে সোববার সকালে সাগরের ওই এলকা থেকে “এমবি হংসরাজ” ট্রলারসহ আটক ১৪ জেলেকে বুধবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে বাগেরহাট জেলা করাগারে প্রেরণ করেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে তিন দফায় বঙ্গোপসাগরের একই এলাকা থেকে ফিসিং ট্রালারসহ ৪২ ভারতীয় জেলেকে আটক করে নৌ বাহিনীর সদস্যরা। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকারের অপরাধে মামলা দায়েরের পর আদলতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এনিয়ে গত কয়েক দিনে মোট ৫৫ ভারতীয় জেলেকে বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ আহরণের অভিযোগে আটক করল নৌ বাহিনীর সদস্যরা।