বাগেরহাটের ভৈরব নদী তীরে শহর রক্ষাবাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার এলকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর সেখানে বৃক্ষ রোপন শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার বিকালে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলী একটি মেহগনি গাছের চারা রোপনের মধ্য দিয়ে এ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এর আগে সোববার সকালে শহরের মুনিগঞ্জ চাঁনমারী কালভার্ট থেকে শুরু করে বাসাবাটি কেবি মাছ বাজার পর্যন্ত ভৈরব নদী তীরের প্রায় ২ কিলোমিটারি এলকা জুড়ে গোড়ে ওঠা কাঁচাবাজার, ইটেরগোলাসহ প্রায় ৭০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃক্ষ রোপন করার আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) উচ্ছেদকৃত এলাকা ঘুরে দেখেন।
এসময় বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম এহতেশামুল হক, নির্বাহী হাকিম পিযুষ চন্দ্র দেসহ ভুমি অফিসের কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসি মু. শুকুর আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, শহরের ভৈরব নদীর প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তোলে। এর ফলে শহরের ভৈরব নদ ও শহর রক্ষাবাঁধের সৌন্দর্য ও নদীর পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছিল।
নদ তীর ও শহর রক্ষাবাঁধ রক্ষা করতে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। কোন মহল যাতে এই উচ্ছেদ হওয়া এলাকায় নতুন করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলতে না পারে সেজন্য এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া অবৈধ স্থাপনা রুখতে নিয়মিত তদারকির পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।