বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগে ট্রলারসহ আরও ১৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী।
আটককৃত জেলেদের রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাগেরহাটের মংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নৌ-বাহিনীর বরাত দিয়ে মংলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর এলাহি বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, মংলা বন্দরের ৮৯ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর একটি দল টহল দিচ্ছিল।
এ সময় বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ শিকাররত অবস্থায় ”এফবি দুই” বোন নামের একটি ট্রলারসহ ১৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করে তারা।
আটকরা হলেন, ভারতের হুগলি জেলার বিষপাড়া গ্রামের গণেশ দাসের ছেলে মিন্টু দাস (২৬), জলধর দাসের ছেলে কালাচাঁদ দাস (৫৪), অনন্ত দাসের ছেলে নিমাই দাস (৪২), গোলচন্দ্র দাসের ছেলে মনোরঞ্জন দাস (৬০), সুরেন দাসের ছেলে মনোরঞ্জন দাস (৫০), বিজয় দাসের ছেলে নারায়ণ দাস (৩৪)।
হুগলি জেলার রঘুনাথপুর গ্রামের নারায়ণ দাসের ছেলে পানু দাস (৫০), শেরপুর গ্রামের নিমাই দাসের ছেলে প্রশান্ত দাস (২৮), ননী দাসের ছেলে সুমন দাস (২৫), মনোহর বাড়ৈ এর ছেলে রুপচাঁদ বাড়ৈ (৩৫), ক্ষত্রিয়নগর গ্রামের গোবিন্দ বিশ্বাসের ছেলে একান্ত বিশ্বাস (৪২), নিত্যানন্দপুর গ্রামের গৌরঙ্গ দাসের ছেলে শেখর দাস (৩৫), দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কুমারপাড়া গ্রামের সিপদ নাইয়ার ছেলে হারুণ নাইয়া (৩২) এবং রাখাল দাসের ছেলে কানাই দাস (৬০)।
সোমবার তাদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানান মঞ্জুর এলাহি।
এর আগে, গত বুধবার একই এলাকা থেকে ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তারা বর্তমানে বাগেরহাট জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।
আটক জেলে মিন্টু দাস ও শুকচাদ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বঙ্গোপসাগরের ভারত-বাংলাদেশ জলসীমার কোন নিশানা/চিহ্ন না থাকায় এ সমস্যা হচ্ছে।
তবে দেশীয় জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ জলসীমায় বেশি মাছ পাওয়া যায় তাই ভারতীয় জেলেরা বেশি মাছের আশায় ইচ্ছে করে এ দেশের জলীমায় অহরহ ঢুকছে আর মাছ লুটে নিচ্ছে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি শরণখোলা শাখার সভাপতি আবুল হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জেলেরা বঙ্গবসাগরে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ লুটে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।