বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক স্কুল শিক্ষক হত্যা মামলার তিন আসামীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
রোববার সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের বৈলপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আশংকাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে পাশ্ববর্তি পিরোজপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আসঙ্কা জনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও ওই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের বৈলপুর গ্রামের প্রয়াত সুলতান শেখের ছেলে বাবুল শেখ (৪২), তার ছেলে রাহাত শেখ (২৪) এবং ছোট ভাই রিপন শেখ (৩৮)। এরা সবাই আওয়ামীলীগের সমর্থক।
পুলিশ জানায়, আহতরা সবাই স্থানীয় স্কুল শিক্ষক গোলাম রসুল হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভূক্ত (এজাহারনামী) আসামী।
পিরোজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ননী গোপাল রায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, আহতদের হাত পা ও পিঠে একাধিক ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। এরমধ্যে বাবুল শেখের দুই পা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম খান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, রোববার সকাল দশটার দিকে বৈলপুর গ্রামের মানছুর শেখের নের্তৃত্বে ৮-১০ জন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাবুলের বাড়ির সামনে এসে বাবুল, তার ছেলে রাহাত এবং ছোট ভাই রিপনকে পেয়ে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়।
পরে আশংকাজনক অবস্থায় বাবুলসহ তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
ওসি বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মানছুর শেখের সঙ্গে বাবুলের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালের ৪ মে বৈলপুর গ্রামে গোলাম রসুল নামে এক স্কুল শিক্ষক খুন হন। তিনি মোরেলগঞ্জের তেলিগাঁতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
ওই স্কুল শিক্ষক খুনের ঘটনায় বাবুল, তার ছেলে রাহাত এবং ছোট ভাই রিপনের সম্পৃক্ততা মেলায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। ওই মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। এরা সবাই জামিনে রয়েছেন।
হামলায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানান ওসি।