১৬ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার। দ্রোহ, প্রেম, স্বপ্ন ও সংগ্রামের শিল্পভাষ্য কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৫৮তম জন্মবার্ষিকী আজ।
১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর বরিশাল জেলার আমানতগঞ্জের রেডক্রস হাসপাতালে জন্মগ্রহন করেন তিনি।
তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (১৯৫৬-১৯৯১) তার শিল্পমগ্ন প্রতিটি উচ্চারণে তুলে ধরেছেন মাটি ও মানুষের প্রতি আমূল দায়বদ্ধতা। আর যা তাকে দিয়েছে আধুনিক বাংলার অন্যতম কবির স্বীকৃতি।
অকাল প্রয়াত এই কবি তার কাব্যযাত্রায় যুগপৎ ধারণ করেছেন দ্রোহ ও প্রেম, স্বপ্ন ও সংগ্রাম। নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে; হয়ে উঠেছিলেন তাদেরই কন্ঠস্বর।
‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’- এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি ততোধিক স্পর্ধায় তিনি উচ্চারণ করেছেন- ‘ভুল মানুষের কাছে নতজানু নই’।
যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান কবিকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক’-এ। একই সঙ্গে তাঁর কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা।
মাত্র ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।
বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মিঠাখালিতে বেড়ে ওঠা কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৫৮তম জন্মবার্ষিকীতে নান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে।
রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও কবির ছোট ভাই সুমেল সারাফাত বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, দিনটির স্মরণে রুদ্র স্মৃতি সংসদ (মিঠেখালি) বৃহস্পতিবার সকালে কবির গ্রামের বাড়ি মিঠেখালিতে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালী, মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করেছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকালে মিঠাখালিতে রুদ্র স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে কবির স্মরণে আলোচনা সভা ও রুদ্র সংগীত অনুষ্ঠিত হবে।