স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৫ আক্টোবর) বিকালে কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে পুলিশ ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকার হাজারীবাগ থানায় গত ১১ অক্টোবর শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদারের (৫০) স্ত্রী জাহানারা বেগমের দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান হয়েছে।
সেলিম তালুকদার পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার ঝাটরা গ্রামের প্রয়াত সয়িজুদ্দিন তালুকদারের ছেলে।
তিনি ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার ৩০/৩ মনেশ্বর রোডের একটি বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। বর্তমানে তিনি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফুল ইসলাম মুঠোফোনে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদার সম্প্রতি যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি জাহানারা তার ভাইবোনদের জানালে তারা তাদের বোনের সংসারে শান্তির কথা চিন্তা করে সেলিমকে কিছু টাকা যৌতুক দিয়ে শান্ত করেন।
এর কিছুদিন পর সে আবার যৌতুকের জন্য স্ত্রী জাহানারাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। এরপর তিনি গত ১১ অক্টোবর ঢাকার হাজারীবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় সেলিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করা হয়। সেলিমের কর্মস্থল বাগেরহাটের কচুয়া থানায় মামলার ওয়ারেন্ট পাঠালে থানা পুলিশ বুধবার বিকালে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে তাঁর কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে।
২-১ দিনের মধ্যে তাঁকে বাগেরহাটের জেলা কারাগার থেকে ঢাকার হাজারীবাগ থানায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ঢাকার হাজারীবাগ থানায় শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদারের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী জাহানারা বেগম একটি মামলা করেন।
ও্ই মামলার ওয়ারেন্ট হাতে পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।