বাগেরহাটের রামপালে এক কিশোরীকে (১৬) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে কথিত প্রেমিক ও তার বন্ধুরা।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো তিন-চার জনের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।
মামলা দায়ের পর মঙ্গলবার সকালে মেয়েটির কথিত প্রেমিক মাসুম মল্লিক (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মল্লিকের ছেলে।
সোমবার রাতে রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের এশা হাওলাদারের বাগানে ওই কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মঈন উদ্দিন মোল্লা বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগের বরাত দিয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী দাউদ হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা এক দিনমজুর বাবার ষোড়শি কণ্যার সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মল্লিকের ছেলে সুম মল্লিকের “প্রেমের সম্পর্ক” গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে মাসুম মেয়েটিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কল দিয়ে দেখা করতে বলে।
“ফোন পেয়ে মেয়েটি তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গোবিন্দপুর গ্রামের এশা হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির বাগানে নিয়ে তাকে ছয়/সাত জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।”
পরে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটি বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়।
পরিবারের লোকজন ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করলে মঙ্গলবার সকালে হোগলডাঙ্গা গ্রাম থেকে মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত মাসুম মল্লিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত মাসুমকে দুপুরে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।