বাগেরহাটে মহিষকে গরু বলে বিক্রি এবং অসুস্থ্য রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে দুই কসাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার ভোরে বাগেরহাট বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম শেখ মহিউদ্দিন এই দন্ড প্রদান করেন।
অসুস্থ্য গরুটি উদ্ধার করে স্যানিটারী ইন্সেপেক্টর মো. রোকনউদ্দিনের জিম্মায় রাখা হয়েছে এবং মহিষের জব্দ করা প্রায় পাঁচ মন মাংস মহিষের হিসাবে বাজারে বিক্রির নির্দেশ দেন তিনি।
অসুস্থ্য গরু জবাই করে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে মো. বেল্লাল হাওলাদারকে (৩৪) ১৫ দিনের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও পনেরো দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মহিষ জবাই করে গরুর মাংস বলে ক্রেতাদের কাছে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে আব্দুস সালাম খানকে (৩৫) পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এদের বাড়ি বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকায়।
বাগেরহাটের নির্বাহী হাকিম শেখ মহিউদ্দিন সকালে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বাগেরহাট শহরের প্রধান বাজারের কসাইখানায় অসুস্থ্য গরু জবাই করে এবং মহিষ জবাই করে গরুর মাংস বলে বাজারে ক্রেতাদের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছে এমন গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোর পাঁচটায় বাজারে অভিযানে যাই।
বাজারের কসাইখানায় গিয়ে একটি অসুস্থ্য রোগাক্রান্ত গরু এবং মহিষ জবাই করে তা গরুর মাংসের সঙ্গে মেশানো মহিষের প্রায় পাঁচ মন মাংস উদ্ধার করি সেই সঙ্গে বেল্লাল ও সালাম নামে দুই কসাইকে আটক করি। তারা দুজনে তাদের অপরাধ স্বীকার করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৪ ধারায় তাদের মোট ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।