দু’দিনের মাথায় বাগেরহাটে আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এবার অগ্রণী ব্যাংকের এক কর্মকর্তার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।
রোববার গভীর রাতে শহরের দশানী সংলগ্ন বাদাম তলা এলাকায় তার নিজ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতরা এক তলা ওই বাড়ির ড্রইংরুমের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে বিভিন্ন রুমের মালামাল তছনছ করে এবং একটি স্বর্ণের চেইন, এক ছোড়া কানের দুল, এক সেট বালা এবং নগদ টাকা নিয়ে যায়।
ঘটনার সময় ওই বাড়িতে অগ্রণী ব্যাংক বাগেরহাট জোনাল শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার কোহিনূর খানম ছাড়া আর কেই ছিলেন না। তিনি ওই এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
কোহিনূর খানম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, শনিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় ডকাতরা তার বাড়ির ড্রইং রুমের একটি গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তিনি ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। তার শোবার ঘরের দরজা লাগানো ছিলো। রাত আনুমানিক সোয়া ৩ টার দিকে তিনি তার রুমের দরজায় আঘাতের শব্দ শুনে ঘুম থেকে ওঠেন।
এসময় তিনি কে বলে ডাক-চিৎকার দিলে ডাকাতরা গালাগালি করে তার রুমের দরজা খুলতে বলে।
তিনি জানান, ভয়ে তিনি দরজা না খুলে তাদের সাথে কথা বলেত লাগান এবং দরজা না ভাঙার আকুতি জানান। তখন ডাকাতরা তার কছে ২ লাক্ষ টাকা দাবি করে।
এসময় তিনি বেশি টাকা নেই জানিয়ে যা আছে দিতে রাজি হন এবং তার পার্স ব্যাগে থাকা সাড়ে ৪ হাজার টাকা রুমের বার্থরুমের জানালা দিয়ে ছুড়ে দেন এবং সবাইকে বাইরে যেতে বলেন।
কোহিনূর খানম আরো জানান, টাকা দেবার সাথে সাথে তিনি ফোনে তার প্রতিবেশি এবং নিকট আত্মিয়দের বিষটি জানাবার চেষ্টা শুরু করেন। তখন ঘরের অন্য রুম গুলোতে তিনি ৩-৪ জনের হাটার শব্দ পান। এর মাঝে তিনি এক নিকট আত্মিয়ে বিষয়টি জানাতে সক্ষক হন।
এসময় ঘরের বাইলে থেকে এক ডাকাত তাকে সাবধান করে ফোন করতে নিষেধ করেন এবং বাড়ির চার পাশে তার ঘিরে ফেলেছে বলে তাকে গালাগান করতে থাকে।
ওই ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ির (পাশের আলাদা একটি ঘরের) ভাড়াটিয়া অনুপম বিশ্বাস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, গভির রাতে হটাৎ কথার শব্দ পেয়ে তিনি একটি লাইট নিয়ে ঘরের বাইরে বের হলে মুখোশ পরা সশস্ত্র দুই ব্যাক্তি তার গতি রোধ করে এবং ঘরে চলে যেতে বলে। এসময় তারা তাকে কথা বলে ঘরে পেট্টল বোমা দিয়ে জালিয়ে দেবার হুমকি দেয় এবং তাকে ঘরে ঢুকিয়ে দু’জন সমনে অবস্থান নয়।
‘এর কিছু ক্ষনের মধ্যে আপর আত্মিয় এবং পুলিশ এলে ডাকাতরা পালিয় যায়।’
পরে ওই ঘরে ডুকে ড্রইংরুম এবং রান্না ঘরের জানালার দু’টি গ্রিল কাটা এবং অনান্য রুমের আসবাপত্র, আলমিরা ভাঙা এবং সমস্ত মালামাল তছনছ অবস্থায় দেখতে পান।
ব্যাংক কর্মকর্তা কোহিনূর খানম বলেন, তাৎক্ষনিক তার আত্মিয়রা পুলিশ নিয়ে চলে আসায় বড় ধরণের দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
এব্যাপারে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আযম খান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ডাকাতরা ওই বাড়ির গ্রিল কাটে ভেতের প্রবেশ করে। খবর পেয়ে দ্রূত পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তবে অব্যহত চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতির ব্যপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে তা তিনি জানান নি।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার তিন দিন আগে বুধবার দিবাগত রাতে এই ভাবে শহরের সোনাতলা এলকার একটি বড়ির জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে বেঁধে রেখে স্বর্নালংকার ও নগদ টাকাসহ অন্তত পাঁচ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় ডাকাতরা।
এদিকে প্রতিনিয়ত এমন চুরি, ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষ আত্মংঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।