সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাগেরহাটে ইলিশ আহরণের অভিযোগে ৬ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার রাতে বাগেরহাট জেলা মৎস্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদে এবং মংলা উপজেলার পশুর নদী থেকে ওই ৬ জেলেকে আটক করে।
এ সময় ঐ জেলেদের কাছ থেকে ৬ হাজার মিটার ইলিশ ধরা জাল ও একটি মাছ ধরা নৌকা উদ্ধার করা হয়।
বৃহষ্পতিবার বিকালে আটককৃত জেলেদের পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়।
সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে – মোরেলগঞ্জ উপজেলার আমতলী গ্রামের এমাদুল শেখ এবং আশরাফ আরী আকনের দুই ছেলে মন্টু আকন ও সগীর আকন শরণখোলার বলেশ্বর নদ থেকে এবং খুলনার দাকোপ উপজেলার চূনকুড়ি গ্রামের আমাস সরকার, একই উপজেলার বাজুয়া গ্রামের রুবেল শেখ ও মিজানুর রহমান মংলার পশুর নদী থেকে আটক হন।
শরণখোলা উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মোরেলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল হালিম এবং মংলার ইউএনও মো. তবিবুর রহমান মৎস্য সুরা আইন-১৯৫০ এ অভিযুক্ত জেলেদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। পরে তাদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একটি মাছ ধরা নৌকা এবং প্রায় ৪ হাজার মিটার ইলিশ ধরা জালসহ শরণখোলার বলেশ্বর নদে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আটক ৩ জেলের প্রত্যেককে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। অন্যদিকে মংলার পশুর নদীতে ইলিশ আহরণের সময় আটক ৩ জনের প্রত্যেককে তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ হাজার তিন শত মিটার ইলিশ ধরা জাল।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল জানান, ইলিশ মাছের বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নদী ও সাগরে ইলিশ ধরা, পরিবহণ, মজুদ ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে ইলিশ মাছ ধরার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত মৎস্য সুরক্ষা আইন ১৯৫০ এর অধীনে শরণখোলায় আটককৃত তিন মৎস্যজীবীকে এক বছরের এবং মংলায় আটক তিন মৎস্যজীবীকে তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।