বাগেরহাট শহরের পৌর এলকার একটি বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে গত রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার দিবাগত গভীর রাতে শহরের সোনাতলা এপিএস ল্যাবরেটরীজ সংলগ্ন গলির ভেতরের মো: আবু সাঈদ মিঞার বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
ডাকাতরা ওই বাড়ির দোতালার জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে বেঁধে রেখে স্বর্নালংকার ও নগদ টাকাসহ অন্তত পাঁচ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছেন।
বাড়ির মালিক মো: আবু সাঈদ মিঞা এবং তার স্ত্রী মোসাম্মত জামিলা খাতুন বাগেরহাট জেলা কালেক্টরেটে (জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের) কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন ঐ বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মো: আবু সাঈদ মিঞার দোতালা নির্মাণাধীন বাড়ির নীচতলা ফাঁকা। বাড়ির সামনে একপাশে দুটি বাঁশ দাড় করিয়ে রাখা।
ধারণা করা হচ্ছে, এই বাঁশ বেয়েই ডাকাতরা দোতালায় উঠে বারান্দায় দাড়িয়ে ড্রইংরুমের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকেছিলো।
দোতালায় ফ্ল্যাটে ঢোকার প্রধান দরজা থাকলেও ভেতরের কামরাগুলোতে কোন দরজা নেই। শোবার ঘরে স্টিলের একটি আলমারীর দরজা ভাঙা। বিছানা-পত্র ওল্টানো।
এই দম্পতি বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ডাকাতরা তাদের আলমারিতে রাখা সোনার চেইন, আংটি ও কানের দুলসহ প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৪০ হাজার টাকা, তাদের একটি মুঠোফোন এবং ভাগ্নের ক্যামেরা ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
আবু সাঈদ বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, বুধবার রাতে তিনি, তার স্ত্রী, তাদের কাজের মহিলা ও এক ভাগ্নে বাড়িতে ছিলেন। রাত আনুমানিক আড়াইটা-তিনটার দিকে ঘরে মানুষের কথা টের পান। এর পরই ডাকাতরা তাকে ডেকে বলেন, “চাচা ওঠেন, আমরা ডাকাত”।
এসময় তিনি উঠেই দেখেন ঘরে আলো জ্বলছে। তার শোবার ঘরের ভেতরে ৪ জন মুখ বাঁধা ব্যক্তি। তবে ঘরের অন্য রুমে বা বাইরে আর কেউ ছিলো কি না বুঝতে পারেন নি বলে জানান তিনি।
বাড়ির মালিক আবু সাঈদ আরো জানান, ডাকাতরা বাড়ির সবাইকে ঘুম থেকে তুলে একটি ঘরে এনে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। মারধর করেনি তবে রান্নাঘর থেকে দা ও বটি নিয়ে সেগুলো দেখিয়ে ভয় দিয়েছে।
কোন অস্ত্র না দেখালেও, কয়েক বার গুলি করার হুমকি দিয়েছে এবং আলমারী ভেঙে নগত টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।
তবে, এই ঘটনায় মামলা করতে রাজি না গৃহকর্তা আবু সাঈদ। তিনি মনে করেন, মামলা করতে গেলে পুলিশকে টাকা দিতে হবে কিন্তু ডাকাতরা ধরা পড়বে না, মালও ফেরৎ পাওয়া যাবে না।
তাই সকালে তার সহকর্মীদের মামলা করার পরামর্শ শুনতে চাইছিলেন না আবু সাঈদ।
এব্যাপারে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আযম খান বলেন, সোনাতলা এলাকায় একটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছে। অভিযোগ পেলে মামলা করা হবে।
Bagerhat Info Largest Bagerhat Online Portal for Latest News, Blog, Informations & Many More