সুন্দরবনে ফের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ দস্যু নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৪ দিনে সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে ১৫ দস্যু নিহত হল।
র্যাব জানায়, বুধবার সকাল ৮টা ৪৩ মিনিট থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের মৃগমারী খাল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ চলে।
পরে জেলেদের নিয়ে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সেখানে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে জাকির (৩০) ও রাজু (২৫) নামের দুই দস্যুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, স্থানীয় জেলেরা তাদের “বনদস্যু আউয়াল বাহিনীর” সদস্য বলে পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জাননা, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের মৃগমারী খাল এলাকার মৃগমারী ফরেস্ট স্টেশনের বিপরীতে একদল দস্যু অবস্থান নিয়ে তাদের ক্যাম্প স্থাপন করেছে এমন খবর পেয়ে বুধবার সকালে র্যাব সেখানে অভিযান শুরু করে।
“অভিযান চলাকালে দস্যুরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের উপর গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্য়ায়ে পর সোয়া ৯টার দিকে পিছু হটে দস্যুরা। তখন সেখানে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ দু’জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।”
“আউয়াল বাহিনী সুন্দরবনে ও সাগরে মাছ ধরা জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালসহ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে,” বলে জানান র্যারের ওই কর্মকর্তা।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি পয়েন্ট টু টু বোর রাইলের, ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি দেশি পাইপগান, ২০০ রাউন্ড গুলি, ১টি বিদেশি বাইনোকুলার, ৪০ ফিট লম্বা একটি ফিসিং ট্রলার, ২টি সোলার প্যানেল এবং জেলে ও বনজীবিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিক সম্বলিত টোকেন (রশিদ) উদ্ধার করে র্যাব।
পরে বনদস্যুদের ক্যাম্পটি ধ্বংস করা হয়। উদ্ধারকৃত মৃতদেহ ও গোলাবারুদ বাগেরহাটের মংলা থানায় হস্থান্তর করা হবে বলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দুই দফা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩ জন নিহত হন, যারা দস্যু (ডাকাত) দলের সদস্য বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।